অযোধ্যার দু`দশক

অযোধ্যার দু`দশক

অযোধ্যার দু`দশক ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২। ধর্মের জিগির তুলে অযোধ্যায় বহু শতাব্দী প্রাচীন এক ধর্মীয় স্থাপত্যকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল কিছু উন্মাদ। আর সেই সঙ্গে ধুলোয় মিশেছিল গণতান্ত্রিক ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার অহংকার। ধর্মীয় আবেগকে কেন্দ্র করে জ্বলে ওঠা সেই আগুনে পুড়েছিল গোটা দেশ। তারপর কেটে গিয়েছে দু-দুটো দশক। পায়ে পায়ে হাজির আরেকটা ৬ ডিসেম্বর। রক্তস্নানের ২০ বছর পর কেমন আছে অযোধ্যা? স্বজনহারার ব্যথা বুকে নিয়ে সেই ধর্মনগরীতে কেমন আছেন সংখ্যালঘুরা?

অযোধ্যা আজ শান্ত। ২০ বছর আগের সেই রক্তস্নানের লেশমাত্র চিহ্ন নেই কোথাও। কিন্তু স্বজনহারাদের স্মৃতিতে এখনও টাটকা সেই ক্ষত। সেদিন গোষ্ঠী হিংসায় নিজের বাবা-কাকাকে হারিয়েছিলেন মহম্মদ সাজিদ। ভেসে গিয়েছিল এক বর্ধিষ্ণু পরিবার। 

অযোধ্যায় বহু শতাব্দী ধরে পাশাপাশি শান্তিতে বাস করেছিল দুই সম্প্রদায়। কোনওরকম বিরোধ ছাড়াই। সেই কালো শুক্রবারেও সম্প্রীতির বন্ধন ছিল অটুট। তাহলে কী করে রাতারাতি বদলে গেল সেই শান্তির পরিবেশ? অযোধ্যাবাসীর ধারণা, এর পিছনে কাজ করেছিল গভীর কোনও ষড়যন্ত্র।

তবে কুড়ি বছর আগের সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি আর নেই। ধীরে ধীরে ফিরে এসেছে শান্তি। ফিরেছে সম্প্রীতি। মসজিদের দাবি ছাড়েননি মুসলিমরা। হিন্দুরাও অনড় তাঁদের মন্দিদের দাবিতে। তবে এই সমস্যার এখন আইনি সমাধানই চায় দুই সম্প্রদায়। বিশ বছর পেরিয়ে আরেকটা কালো শুক্রবার চান না অযোধ্যাবাসী।

First Published: Monday, December 3, 2012, 21:23


comments powered by Disqus