Last Updated: June 29, 2012 11:27

ছত্তিসগড়ে মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিস ও সিআরপিএফ-এর যৌথবাহিনী। ৩টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হল ২২ জন মাওবাদীর। তবে নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই স্থানীয় আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত সিপিআই(মাওবাদী)-র সহযোগী সংগঠন সঙ্ঘম-এর সদস্য। অন্যন্যরা মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি(পিএলজিএ)-র সদস্য বলে খবর মিলেছে।
বিজাপুর জেলার বাসাগুড়া থানা এলাকায় শুক্রবার ভোররাত থেকে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে চলা সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন মাওবাদীর। বিজাপুরের পুলিস সুপার প্রশান্ত আগরওয়াল জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোররাতে জঙ্গলে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে এঁদের মৃত্যু হয়েছে। গুলিতে আহত হয়েছেন ২ মাওবাদী। নিহতদের মধ্যে ১৭জন ও আহতরা মাওবাদীদের সহযোগী সংগঠন সঙ্ঘম স্কোয়্যাডের সদস্য।

বিজাপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় সিআরপিএফের ৬ জওয়ানও আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জঙ্গলে আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীদের খোঁজে জোরদার তল্লাসি অভিযান শুরু করেছে রাজ্য পুলিস ও সিআরপিএফ-এর যৌথবাহিনী।
অন্যদিকে, সুকমা জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে ২ মাওবাদী। গ্রেফতার হয়েছেন ৭ জন। নারায়ণপুরেও সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। মূলত পিএলজিএ-র সহযোগী হিসেবেই ছত্তিসগড়ের বনাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে সঙ্ঘম বাহিনী গড়ে তোলে মাওবাদীরা। রেড করিডোরে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারির কাজেও এই সংগঠনের সদস্যদের ব্যবহার করে মাওবাদী গেরিলা স্কোয়াডগুলি।
First Published: Friday, June 29, 2012, 11:40