Last Updated: December 8, 2011 13:53

টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির সাক্ষী হিসেবে সিবিআইয়ের এক যুগ্ম অধিকর্তা ও অর্থমন্ত্রকের এক যুগ্মসচিবকে আদালতে পেশ করা হবে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই শুনানিতে টুজি দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পালানিয়াপ্পন চিদাম্বরমের ভূমিকা সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে `অবহিত` হবে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত। পরে প্রয়োজন মনে করলে পি চিদাম্বরমকেও বিশেষ আদালতের এজলাসে তলব করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনি।

২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রকের আর্থিক বিষয়ক বিভাগের একটি নোট ইতিমধ্যেই আদালতের হাতে এসেছে। তথ্যের অধিকার আইনে প্রাপ্ত এই নোটে বলা হয়েছে, স্পেকট্রাম বণ্টনের বিষয়ে তত্কালীন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজার সমস্ত সিদ্ধান্তের শরিক ছিলেন পি চিদাম্বরম। স্পেকট্রাম পাওয়ার পর সোয়ান টেলিকম এবং ইউনিটেক ওয়্যারলেস নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিদেশি সংস্থার কাছে শেয়ার বিক্রি করেছিল। রাজার সঙ্গে পরামর্শ করে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এ ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিশেষ সিবিআই আদালতের এদিন রায়ের ফলে যথেষ্ঠ বিপাকে পড়েছেন চিদাম্বরম। বিরোধী বিজেপি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সংসদে তাঁকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ের পর চিদাম্বরমের ইস্তফার দাবিতে সংসদে বিক্ষোভ দেখান এনডিএ সাংসদরা।
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদনের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার পিছু হটার পর বুধবার সচল হয়েছিল সংসদ। কিন্তু এদিন চিদাম্বরমের পদত্যাগের দাবি ঘিরে শাসক ও বিরোধী শিবিরের তুমুল বিতণ্ডার জেরে সাময়িক ভাবে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। দুপুরে ফের সংসদের অধিবেশন শুরু হলে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করে বামেরা।
First Published: Thursday, December 8, 2011, 14:49