টুজি কাণ্ড : আদালতে হাজিরা দিলেন না রুইয়া ও খৈতানরা

টুজি কাণ্ড : আদালতে হাজিরা দিলেন না রুইয়া ও খৈতানরা

টুজি কাণ্ড : আদালতে হাজিরা দিলেন না রুইয়া ও খৈতানরাআদালতে হাজিরা দিলেন না টুজি স্পেকট্রাম দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এসার গ্রুপ ও লুপ টেলিকমের ৫ কর্মকর্তা। স্পেকট্রাম দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এসার গ্রুপের কর্ণধার অংশুমান রুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান রবি রুইয়া, অন্যতম ডিরেক্টর বিকাশ সরফ, লুপ টেলিকমের দুই কর্মকর্তা কিরণ খৈতান ও আইপি খৈতান- এই ৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১১-র ডিসেম্বরে সমন জারি করেন দিল্লিতে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক ওপি সাইনি। আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ১২০(বি) ধারায় স্পেকট্রাম দুর্নীতিতে প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ৫ কর্মকর্তার হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁদের সংস্থার আইনজীবীদের দাবি, তাঁদের মক্কেলরা বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছে। এবং তাঁদের কাছে সমন পৌঁছায়নি। সমন পাঠানোর বিষয়ে সঠিক নিয়ম সিবিআই অনুসরণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। আইনজীবীদের বক্তব্য, কোনও ব্যক্তিকে সমন পাঠাতে গেলে, সেই ব্যক্তি যেখানে বাস করছেন, সেই ঠিকানায় পাঠানো উচিত। অভিযুক্ত ৫ কর্মকর্তা এদিন না থাকলেও, তাঁদের সংস্থার পক্ষের আইনজীবীরা এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। তাই সিবিআই-এর দাবি, আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের উপস্থিতির অর্থ সমন তাঁদের কাছে পৌঁছেছে। অভিযুক্তরা আদালতের হাজিরা এড়িয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযুক্তরা তাদের দিল্লির ঠিকানা দিয়েছিলেন। সেজন্যই ওই ৫ কর্মকর্তার দিল্লির ঠিকানায় সমন পাঠানো হয় বলেও জানায় সিবিআই। সিবিআই-এর অভিযোগ, লুপ টেলিকমে এসারের শেয়ার থাকা সত্ত্বেও স্পেকট্রাম লাইসেন্স বণ্টনের সময় টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই-এর বিধি না মেনে তথ্য গোপন করে যায় এসার।

First Published: Friday, January 27, 2012, 14:11


comments powered by Disqus