Last Updated: June 28, 2012 09:58

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় বিয়ের অপরাধে বিয়ের আসর থেকেই গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত রাজেশ গিরির বাবা সহ মোট পাঁচজনকে। বুধবার বিয়েতে বাধা দিতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে রাতে ফের ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্তের প্রথম স্ত্রী পুজা। ঘটনার জেরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে কলকাতা পুলিসের ভূমিকা নিয়েও। প্রশ্ন উঠেছে, তিন-তিনটি থানা কেন প্রথমেই অভিযোগ দায়ের করে জরুরি পদক্ষেপ নিল না?
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের আগেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি সহ মোট পাঁচজন। ২০১০-এর ২৫ এপ্রিল বিধান সরণীর বাসিন্দা পূজা কউরের সঙ্গে বিয়ে হয় এগারো নম্বর কাশীপুর রোডের বাসিন্দা রাজেশ গিরির। তবে সাংসারিক অশান্তির জেরে নৈনিতালে থাকতে শুরু করেন গিরি দম্পতি।
এরপরেই পুলিসের দ্বারস্থ হন পূজা। কিন্তু পরপর তিনটি থানায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ পুজার। এরপর বুধবার সকালে বাধ্য হয়ে লালবাজারে যান পূজা।
লালবাজারে জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের পরামর্শেই বুধবার ফের চিত্পুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুজা। তবে এরপরও যখন পুজা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিয়ের আসরে যান, তখন তাঁদের সঙ্গে যায়নি পুলিস। অভিযোগ, সেখান থেকে তাদের রীতিমতো হেনস্থা করে তাড়িয়ে দেয় রাজেশের আত্মীয়স্বজন। পরে ফের জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের নির্দেশে বিয়ের আসরে হাজির হয় চিত্পুর থানার পুলিস। পুলিস পৌঁছলে রণক্ষেত্রের আকার নেয় বিয়ের আসর। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরা।
জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় রাজেশ গিরি ও তাঁর বাবা ভগবানকৃষ্ণ গিরি সহ মোট পাঁচজনকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে চিতপুর থানার পুলিস। এরমধ্যে রয়েছে, বধূনির্যাতনের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ৪৯৮এ ধারা। অশালীন আচরণ এবং মহিলাদের প্রতি কটুক্তির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে ৫০৬ ধারায়। এছাড়াও একাধিক ব্যক্তি মিলিতভাবে অপরাধ সংগঠিত করার দায়ে ৩৪ ধারাতেও রুজু করা হয়েছে মামলা। রাজেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারও।
গোটা ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। পূজার প্রশ্ন, প্রথমেই যদি সক্রিয় ভূমিকা নিত তিন-তিনটি থানা তবে কী আটকানো সম্ভব হতো না এই অবৈধ দ্বিতীয় বিয়ে?
First Published: Thursday, June 28, 2012, 10:20