Last Updated: June 5, 2012 19:12

দাবদাহের জেরে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। মঙ্গলবারও গরমের দাপটে রাজ্যে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত দুদিনে ৬০ জনের মৃত্যু হল রাজ্যে। এর মধ্যে আসেনসোলেই মারা গেছেন ৩২ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে গরমে বলি হয়েছেন ১৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গরমে ঝাড়গ্রামে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলির চুঁচুরা, মগরা এবং তারকেশ্বরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গরমে ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার সোদপুরের ঘোলা থেকে। বাঁকুড়ার সুতিঘাট, পুরুলিয়া শহর, বর্ধমানের কাটোয়াতেও গরমে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় গরমে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। খড়গপুরে গরমে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। কলকাতায় মারা গেছেম ২জন। সোমবার মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৪২ ছুঁয়েছে। প্রত্যেকটি মৃত্যুই প্রাথমিকভাবে গরমের কারণে হয়েছে বলে মনে করা হলেও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
কলকাতাজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অতিরিক্ত আপেক্ষিক আদ্রতা এবং বাড়িত তাপমাত্রার জন্য বেড়েছে অস্বস্তি সূচকও। মঙ্গলবার অস্বস্তিসূচক পৌঁছে য়ায় ৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ছুঁয়েছে। এর থেকে আপাতত রেহাই মেলার সম্ভাবনা আপাতত দেখাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিন কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে পৌছে যায় ফলে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরী হয়। সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদের কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কারণে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এদিনও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির তাপমাত্রা ৪৫ ছাড়িয়েছে। বর্ষা না আসা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভবনা নেই। দেশের উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঢুকছে গরম হাওয়া। ফলে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থির অবনতি হচ্ছে।
First Published: Tuesday, June 5, 2012, 21:23