Last Updated: February 25, 2013 21:53

বিস্ফোরণে বাবা-মাকে হারিয়েছিল শিশুটি। ফুটপাথে কাঁদছিল। তাকে বুকে টেনে নিতে চাইলেন পেশায় চিত্রশিল্পী পাপালাল। কিন্তু, বেঁকে বসলেন সমাজের মাতব্বররা। শিশুটির জাত যে আলাদা। শেষপর্যন্ত, সমাজের সঙ্গে লড়াই করেই শিশুটিকে বড় করে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন পাপালাল। সন্ত্রাসদীর্ণ হায়দরাবাদে এ যেন মানবতার এক নতুন দৃষ্টান্ত। এ দৃষ্টান্ত পাপালাল আর তার মেয়ে ফতিমার।
সাড়ে পাঁচ বছর আগের ঘটনা। বিস্ফোরণের পর গোকুল চাটের কাছে এক ফুটপাতে ফতিমাকে কাঁদতে দেখেছিলেন পেশায় চিত্রশিল্পী পাপালাল। সাড়ে তিন বছরের মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টাও কম করেননি। কিন্তু, গোকুল চাটের বিস্ফোরণে বাবা-মা দুজনকেই হারানো ফতিমার পরিবার বলতে আর কিছুই ছিল না। তাই ফতিমা পেল এক নতুন পরিবার।
হিন্দু পরিবারে এক মুসলিম মেয়ের প্রতিপালন? চোখ কপালে উঠেছিল সমাজের তাবড় মাতব্বরদের। পাপালালকে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও কম হয়নি। ফতিমার আর তার আসল বাবা-মাকে মনে নেই। মনে নেই, সাড়ে পাঁচ বছর আগের কোনও ঘটনাও। সমাজের চোখে আজ তার পরিচয় পাপালাল ও জয়শ্রীয় প্রথম সন্তান হিসেবেই। বারবার সন্ত্রাসে দীর্ণ হলেও হায়দরাবাদ হারায়নি তার মানবতার ভাষা। পাপালাল আর ফতিমার গল্প বোধহয় তারই উদাহরণ। হায়দরাবাদের এই উদার মানসিকতারই তো প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
First Published: Monday, February 25, 2013, 21:53