Last Updated: February 9, 2012 09:15

ভেজাল দুধে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। যার প্রথম সারিতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একটি জাতীয় পর্যায়ের সমীক্ষার সাম্প্রতিক রির্পোট থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য। কী ভাবে খোলা এবং প্যাকেট দুধে ঘটছে জীবানু সংক্রমণ? মানবদেহে তার প্রভাব কতটা? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণদায়ী দুধই এখন হয়ে উঠেছ প্রাণঘাতী। বস্তুত, বাজারের দুধ এখন শিশুদের খাওয়াতেই বারণ করছেন তাঁরা।
চোখ বন্ধ করে দুধের গ্লাসে চুমুক দেওয়ার দিন আর নেই। আসলে খাদ্য নিরাপত্তা আইনের তোয়াক্কা না করে দুধে যে সমস্ত ভেজাল দ্রব্য মেশানো হচ্ছে তা প্রাণহরণের পক্ষে যথেষ্ট। ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য সাদা তেল, সাদা রঙের জন্য খড়িমাটি এমনকী ফেনা বাড়ানোর জন্য লিকুইড সাবানও মেশানো হচ্ছে দুধে। ফলে আর্সেনিক, ক্যাডমিয়ামের মতো মানবদেহের পক্ষে মারাত্মক ধাতুর উপস্থিতি এখন নিতান্ত স্বাভাবিক ঘটনা। ইকোলাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাসের মতো ব্যাকটিরিয়াও মিলছে আকছারই। এমনকী ক্যান্সারের প্রবণতা বৃদ্ধিকারী 'আইজিএফ ওয়ান' নামে একটি যৌগের উপস্থিতিরও প্রমাণ মিলেছে ভেজাল দুধে। তথাকথিত 'ব্র্যান্ডেড' কোম্পানিগুলির দুধও এই তালিকার বাইরে নয়।
তা ছাড়া উত্পাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গরুকে নিষিদ্ধ অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশন দেওয়া প্রবণতাও এখন ক্রমবর্ধমান। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি হারানো, গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা কিংবা দেহে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে প্রবল ভাবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া'র সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে এই মারক ভেজালের উপস্থিতি। দেশের ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নানা শহর ও গ্রাম থেকে খোলা ও প্যাকেটজাত দুধের ১৭৯১টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করে ১২২৬টি অর্থাত্ ৬৮.৪ শতাংশ নমুনাতেই মিলেছে মারাত্মক ভেজালের উপস্থিতি। আর বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ের সঙ্গেই ভেজাল দুধের নমুনা মেলার ক্ষেত্রে পয়লা সারিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম।
First Published: Thursday, February 9, 2012, 09:27