Last Updated: September 11, 2013 21:30

খুব তাড়াতাড়ি ক্যালিফোর্নিয়ার আকাশে উড়তে দেখা যাবে চ্যাপ্টা আকারের অতিকায় এক বিমানকে। সত্তরবছর পর ফের মার্কিন আকাশে ফের অ্যারোস্ক্র্যাফট ওড়ার অনুমতি দিয়েছে ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
বেল বটম প্যান্টের মতোই ফিরে এসেছে আকাশযান অ্যারোস্ক্র্যাফট। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, যে অ্যারোস্ক্র্যাফটকে আগামী দিনের বিমান হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, তার উদ্ভাবন হয়েছে সাত দশকেরও বেশি সময় আগে। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এই যানকে তখন ওড়ার অনুমতি দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। যদিও এখন সেই অনুমতি মিলেছে। অনুমতি পাওয়ার পরে পরীক্ষামূলকভাবে অ্যারোস্ক্র্যাফট ওড়ানোও শুরু হয়েছে।
ভবিষ্যতের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে অ্যারোস্ক্র্যাফটকে। অতিকায় এই বিমান উড়তে কোনও রানওয়ে লাগে না। হেলিকপ্টারের থেকেও কম পরিসর জায়গা থেকে উড়তে ও নামতে পারে অ্যারোস্ক্র্যাফট। ওড়ার পর পেটের ভিতর হিলিয়াম ট্যাঙ্কে গ্যাসের তারতম্য ঘটিয়ে ভেলার মতো আকাশে ভেসে বেড়াতে পারে যানটি। আপাতত মালপত্র বহনের জন্যই অ্যারোস্ক্র্যাফটকে ভাবা হচ্ছে। চারশো ফুট লম্বা একটি অ্যারোস্ক্র্যাফট ৬৬ টন মাল বইতে পারে।
সেই কার্গোর মধ্যে রদস, পরিকাঠামো সরঞ্জাম থেকে ট্রাক, গাড়ি, যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, সামরিক গাড়ি এমনকি মিসাইলও থাকতে পারে। প্রচুর সংখ্যক সেনা জওয়ানকেও ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে দ্রুত স্থানান্তরে নিয়ে যাওয়া যাবে। যা সামরিকক্ষেত্রে এই যানের ব্যবহার বাড়িতে দেবে। তেমনই কমিয়ে দেবে, এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারের মতো রণপোতের প্রতি নির্ভরতা। মালপত্র বহন ও সামরিক কাজের পাশাপাশি, আকাশের প্রমোদতরী হিসেবেও অ্যারোস্ক্র্যাফটকে কল্পনা করেছেন নির্মাতাদের। সেক্ষেত্রে এই আকাশযান টাইটানিকের মতো ঈর্ষনীয় হবে। যার মধ্যে থাকবে রেস্তোরাঁ, খেলার মাঠ, সিনেমা হল, বেড়ানোর জায়গা ইত্যাদি। তবে সবই ভবিষ্যতের গর্ভে। আপাতত চলছে অ্যারোস্ক্র্যাফটের পরীক্ষামূলক উড়ান।
First Published: Wednesday, September 11, 2013, 21:30