Last Updated: October 23, 2013 18:21

শিল্পায়নের রথ ঝোড়ো গতিতে এগোচ্ছে চিনে। বাড়ছে কল-কারখানা,নগরায়ন। তার দোসর হয়েই হাজির বায়ু দূষণ। ধোঁয়াশার পুরু চাদর এসপ্তাহে বহু ব্যাঘাত ঘটিয়েছ উত্তরপূর্ব চিনে। একরকম বাধ্য হয়েই তাই একগুচ্ছ নতুন নিয়ম চালু করল প্রশাসন। এখন থেকে সমস্ত বড় শহরে যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রাশ টানা হচ্ছে শিল্প উত্পাদন এবং নির্মাণশিল্পের ক্ষেত্রেও।
সোমবার আর মঙ্গলবার এই ছিল উত্তরপূর্ব চিনের হাইলংজিয়াং প্রদেশের চেহারা। ধোঁয়াশার পরত এতটাই গাঢ় যে সামান্য দুরের জিনিষও দেখা যাচ্ছে না। রাজধানী হারবিনের ছবি আরও করুণ। হাইওয়ের উপরে একের পর এক গাড়ির সারি। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ঘটে গিয়েছে একাধিক দুর্ঘটনা। বন্ধ বিমান চলাচল। ঝুঁকি এড়াতে তড়িঘড়ি স্কুল কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বায়ু দূষণে চিনের অধিকাংশ বড় শহরই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেজিংয়ের বাতাসে পার্টিকুলেট ম্যাটারের পরিমাণ প্রায় ৪০-৪৫ গুণ বেশি। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কমাতে তাই নতুন দূষণ প্রতিরোধ নীতি ঘোষণা করেছে চিন। রাজধানী বেজিংসহ ছটি শিল্পোন্নত অঞ্চলকে তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে । বাতাসে, দূষণের মাত্রা কত, তার ওপর ভিত্তি করে চার ধরণের সতর্কতা তৈরি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার রঙ লাল।
বেজিংয়ে ভাল আবহাওয়া তখনই হয়,যখন পরিষ্কার বাতাস বয়ে আসে। না হলে সারা বছর তো ধোঁয়াশাই থাকে।
প্রাথমিকভাবে সরকারি যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেসরকারি গাড়ির ওপর জারি হচ্ছে বিধিনিষেধ। প্রতিদিন কোনও নাগরিকই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোতে পারবেন না। বেপরোয়া শিল্পোত্পাদন এবং নির্মাণে রাশ টানা হচ্ছে। বাড়ির বাইরে উনুন জ্বালিয়ে রান্না নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ হচ্ছে আতসবাজির খেলাও।
First Published: Wednesday, October 23, 2013, 18:21