মার্কিনি প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে ওবামাকে তীব্র কটাক্ষ রিপাবলিকান রমনির

মার্কিনি প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে ওবামাকে তীব্র কটাক্ষ রিপাবলিকান রমনির

মার্কিনি প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে ওবামাকে  তীব্র কটাক্ষ রিপাবলিকান রমনিরপাখির চোখ হোয়াইট হাউজ। আর তাই ফের স্নায়ুযুদ্ধের ঠাণ্ডা লড়াইয়ে মেতে উঠেছে মার্কিনমুলুকের দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরুর পর থেকেই  ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই শিবিরই কোমর বেঁধে জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।   কয়েক বছর আগের মহামন্দার প্রভাব থেকে এখনও মুক্ত নয় মার্কিন অর্থনীতি। একদিকে বাজেটে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা হোয়াইট হাউসের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে কয়েক বছর আগে বিপুল জন সমর্থন আর আশা নিয়ে যে  ওবামা প্রশাসন হোয়াইট হাউজের দখল নিয়েছিল এখন তা বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই যত এগিয়ে আসছে, ততই বিরোধী শিবির ওবামার বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণিত করছে। রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হওয়ার পরই মিট রমনি এক হাত নিলেন ওবামাকে। বর্তমান সঙ্কটের জন্য রমনি সরাসরি দায়ী করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্টের বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তকে।

 
শুধু কর্মসংস্থানের আশ্বাসই নয়। একদিকে পরপর দুটি যুদ্ধ, অন্যদিকে বেহাল অর্থনীতি, সবমিলিয়ে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র এখন কিছুটা বেকায়দায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন যে দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবকে দায়ী করেছেন রমনি। বিদেশনীতির ক্ষেত্রেও প্রেসিডেন্টকে তীব্র আক্রমণ করেছেন এই রিপাবলিকান। তাঁর মতে চিন বা ইরানের সঙ্গে কূটনীতির লড়াইয়ে ওবামার নমনীয় মনোভাবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সমস্যা। হোয়াইট হাউসে গেলে, তিনি যে শক্ত হাতে হাল ধরবেন সেই আশ্বাসও দিয়েছেন রমনি।
 
 
ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টাই করেছেন ওবামা প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হ`লে ডেমক্র্যাট ওবামার পথ ধরে রমনিও যে ভারতকে বন্ধু হিসাবেই পেতে চান তারই ইঙ্গিত মিলেছে রিপাবলিকান কনভেশনে রমনির বক্তব্যে। তবে এই কনভেনশনেই চিন ও ইরাকের প্রতি তাঁর কড়া মনোভাবও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ইরান থেকে তেল আমদানি কমানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে সমর্থন করেছেন রমনি। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেশনে রমনির মনোনয়ন প্রত্যাশিতই ছিল। তবে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল ওই কনভেশনে কিংবদন্তী অভিনেতা-পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউডের উপস্থিতি। কনভেশনে রমনিকে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি ওবামাকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরাশি বছর বয়সি অস্কারজয়ী।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কাউন্টডাউন এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ফার্স্ট ল্যাপে ওবামাকে পিছনে ফেলে কিছুটা এফিয়ে গেছেন রিপাবলিকান রমনি। মার্কিনিদের মধ্যে ওবামার জনপ্রিয়তায় এখন বেশ কিছুটা ভাঁটার টান। ডেমক্র্যাটদের প্রতি সাধারণ মানুষের মনে ক্রমশ বাড়তে থাকা ক্ষোভকে কাজে লাগাতে ওবামাকে সরাসরি আক্রমনের পথই বেছে নিয়েছেন রমনি । তবে নভেম্বরের চূড়ান্ত লড়াইয়ে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দারা কাকে বেছে নেবেন, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।






First Published: Saturday, September 1, 2012, 12:15


comments powered by Disqus