Last Updated: April 28, 2013 19:15

সারদাকাণ্ডের পর সামনে আসছে একের পর চিটফান্ড দুর্নীতির ঘটনা। রবিবার বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের দফতরের সামনে আমানতকারীদের টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন অ্যানেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামে একটি চিটফান্ডের এজেন্ট ও প্রতারিত গ্রাহকরা।
অ্যানেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন্ডিয়া লিমিটেড। এই নামের আড়ালেই চিটফান্ডের ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন সংস্থার কর্ণধার প্রসেনজিত মজুমদার। রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে চামড়া, ভেষজ ওষুধ সবকিছুর নামেই মোটা টাকা ফেরতের লোভ দেখিয়ে টাকা তোলা হত গ্রাহকদের থেকে। আরওসি, সেবিসহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সংশাপত্র দেখিয়ে আমানতকারীদের বিশ্বাস অর্জন করতেন সংস্থার এজেন্টরা। কিন্তু সময়মত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে রীতিমত অসহায় এজেন্টরা। রবিবার বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
অভিযোগ পেয়ে সংস্থার কর্ণধার প্রসেনজিৎ মজুমদারকে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু এজেন্ট ও আমানতকারীদের দাবি, শুধু কর্ণধারই নয়, সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টরদেরও অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
সারদাকাণ্ডে কোণঠাসা হয়ে আমানতকারীদের টাকা ফেরতের জন্য তহবিল গড়েছে সরকার। ভুঁইফোঁড় চিটফান্ডের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনারও উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তদন্ত করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। অ্যানেক্সের এজেন্ট ও আমানতকারীদের দাবি, শুধুমাত্র সারদা নয় তাঁদের টাকা ফেরতের ব্যপারেও উদ্যোগী হোক সরকার।
অ্যানেক্সের দুর্নীতির কথা জানিয়ে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়, জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের কাছে চিঠি দিয়েছেন সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীরা। কিন্তু এখনও সংস্থার অনেক কর্তাই গ্রেফতার হয়নি। প্রতিবাদে রবিবার বারাকপুর স্টেশন থেকে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন এজেন্ট ও আমানতকারীরা। বিক্ষোভও দেখানো হয়।
First Published: Sunday, April 28, 2013, 19:16