Last Updated: April 16, 2012 20:38

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পর এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমুখ সমরে বিজেপি। ফৌজের সঙ্গে সিমলার আন্নাডালে গ্রাউন্ডের দখলদারি বিতর্কের সমাধান চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল। সেনাবাহিনীর এক্তিয়ার বহির্ভূত আচরণ নিয়ে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির কাছে নালিশ জানাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন হিমাচলের এই প্রবীণ বিজেপি নেতা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিমলার সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে পাহাড় চূড়ার ১২১ বিঘা জমিতে একটি ছোট `এয়ার বেস` তৈরি করেছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মি। স্বাধীনতার পরেও জমিটি সেনাবাহিনীর দখলে থেকে যায়। এই দখলদারী আইনসিদ্ধ করতে সরকারের তরফে জমিটি দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে লিজ দেওয়া হয় ফৌজকে। ১৯৮২ সালে সেই লিজের মেয়াদ শেষ হলেও জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে আন্নাডালে গ্রাউন্ডের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রেখেছে `আর্মি ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড`। এতদিন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনও বিতর্ক হয়নি। কিন্তু সঙ্ঘাতের সূত্রপাত হয়, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমলের ছেলে তথা বিজেপি`র যুব সংগঠন অখিল ভারতীয় যুব মোর্চার সর্বভারতীয় নেতা অনুরাগ ঠাকুর রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর। আন্নাডালে গ্রাউন্ডে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম করতে সক্রিয় হন তিনি। অতি-সক্রিয়তার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত রেখে হিমাচল সরকারের তরফেও তড়িঘড়ি জমি খালি করার নোটিশ পাঠানো হয় সেনাবাহিনীর কাছে।

কিন্তু আন্নাডালে গ্রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ `স্ট্র্যাটেজিক পজিশন`-এর যুক্তি দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য জমি খালি করতে অসম্মত হয় জেনারেল ভি কে সিংয়ের বাহিনী। সেনার এই আচরণের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই হিমাচল জুড়ে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এবার আন্নাডালে গ্রাউন্ডের দখলদারী পেতে প্রশাসনিকভাবে সক্রিয় হল হিমাচল সরকার। তবে হিমাচল সরকারের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের বিবাদের নিরসনে ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছেন সেনাপ্রধান ভি কে সিং। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের অনভিপ্রেত মন্তব্যের ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
First Published: Monday, April 16, 2012, 20:38