Last Updated: October 4, 2013 19:44

সল্টলেকের বেসরকারি কলেজে র্যাগিং-এ জখম অনাবাসী ভারতীয় ছাত্রের অবস্থার অবনতি হল। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের বাসিন্দা রিকি দাসকে রাতেই ভর্তি করা হয় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর মাথার চোট গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিতসকেরা। গতকাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের র্যাগিং-এর শিকার হন রিকি। ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটে বৃহস্পতিবার র্যাগিং-এর শিকার হন প্রথম বর্ষের ছাত্র রিকি দাস।
প্রতিবাদ করায় ক্যাম্পাসের ভেতরে ইট, রড দিয়ে বেধড়ক মারা হয় রিকিকে। মাথার পেছনে পাঁচটি সেলাই পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের হাসপাতালে ভর্তি করা রিকিকে। শুক্রবার তার এমআরআই, সিটি স্ক্যান করা হয়। আক্রান্ত ছাত্রটিকে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিতসকরা। কলকাতায় পড়তে এসে ছেলে র্যাগিং-এর শিকার হওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন রিকি দাসের পরিবার। বিদেশ থেকে দ্রুত ছেলের কাছে আসছেন বাবা। ইংল্যান্ডে রিকির বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
অভিযুক্ত ছাত্রদের আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি আইআইএইচএম কর্তৃপক্ষ। এদিকে হামলাকারী ছাত্রদের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রের খোঁজে সল্টলেকের একটি হস্টেলে হানা দেয় বিধাননগর পুলিসের একটি দল। সেখানে তাদের হদিশ মেলেনি। ঘটনার পরই অভিযুক্ত ছাত্ররা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিসের অনুমান। হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিন ছাত্র সাদ্দাম শেখ, রাজবীর সিং এবং হানি সিং-কে খুঁজছে পুলিস। এর মধ্যে এক ছাত্র ডানলপ এবং দু-জন ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা।
First Published: Friday, October 4, 2013, 19:44