Last Updated: April 4, 2012 11:23

সেনাপ্রধানের সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সংঘাতের মধ্যেই ফের নতুন বিতর্ক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেই হিসার এবং আগ্রা থেকে দিল্লি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সন্দেহজনক তত্পরতা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও এদিন সকালেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব শশীকান্ত শর্মার দাবি, সেনাবাহিনীর রুটিন মহড়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে অবহিত করার বিধি নেই। তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনা বিকৃত করেছে মিডিয়া।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবরের দাবি, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে আগ্রা এবং হিসারের ক্যান্টনমেন্ট থেকে দিল্লি যায় সেনাবাহিনীর মেকানাইজ্ড ইনফ্যান্টি ও প্যারাট্রুপার ইউনিটের দু`টি ইউনিট। অত্যাধুনিক সাঁজোয়া গাড়ি, অস্ত্রশস্ত্র এবং রাত্রিকালীন যুদ্ধের সরঞ্জাম নিয়ে রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে হাজির হন ফৌজের এলিট স্ট্রাইকিং গ্রুপের অফিসার ও জওয়ানরা। পরে সেনা সদর দফতরের তরফে তাঁদের ছাউনিতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদেশ সফররত প্রতিরক্ষা সচিব শশীকান্ত শর্মাকে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
গোটা ঘটনা সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে কোনও তথ্যই ছিল না। সেনাবাহিনীর বক্তব্য, কুয়াশায় সেনা অভিযানের মহড়া দিতেই রাশিয়ায় নির্মীত অত্যাধুনিক সাঁজোয়া গাড়ি (ইনফ্যান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকল্) এবং প্যারাট্রুপার ইউনিট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অথচ এ ধরনের তত্পরতার কথা জানতো না বায়ুসেনাও। যদিও আগ্রা-স্থিত ৫০ নম্বর আর্মি প্যারা-ব্রিগেড মূলত বিমানবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই যুদ্ধাভ্যাস করে থাকে। প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্ত করে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে আইবি।
একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত এই খবরে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি দিল্লিতে সেনাদিবস অনুষ্ঠান পালনের পর ক্যান্টনমেন্টে ফিরে গিয়েছিল সেনার সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলি। পরদিন, ১৬ জানুয়ারি বয়স বিতর্ক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে প্রথম শুনানি ছিল সেনাপ্রধান ভি কে সিংয়ের। সেদিন রাতেই সেনাবাহিনীর এই নজিরবিহীন তত্পরতায় নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এই ঘটনার জন্য সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছে সেনা অফিসারদের একাংশ। সরকার-সেনাপ্রধান সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। গোটা ঘটনার জন্য ইউপিএ সরকারের কর্তৃত্বের অভাবকে দায়ী করে বিজেপি বলেছে, গোটা ঘটনার যথাযথ ব্যাখ্যা না দিতে পারায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির পদত্যাগ করা উচিত।
First Published: Wednesday, April 4, 2012, 11:23