Last Updated: July 18, 2012 11:22

গুয়াহাটিতে তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় পুলিসের ভূমিকায় খামতি ছিল। এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এদিকে নিগৃহীতা তরুণীর নাম ও পরিচয় প্রকাশ্যে আনায় প্রশ্নের মুখে তাঁর দফতরের ভূমিকাও। নিগৃহীতা তরুণীর সঙ্গে কথা বলতে আজ গুয়াহাটি যাচ্ছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা।
গুয়াহাটি তরুণীর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে অভিযুক্তদের অধিকাংশকেই গ্রেফতার করেছে অসম পুলিস। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত অরমজ্যোতি কলিতা এখনও ফেরার। পাশাপাশি উঠে আসছে নিগৃহীতা তরুণীর পরিচয় ফাঁসের অভিযোগও। এই পরিস্থিতিতে গুয়াহাটি পুলিসের একাংশের দায়িত্বপালনে বড়সড় খামতি রয়ে গিয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তবে গুয়াহাটি কাণ্ডে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অসমের কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী।

নিগ্রহের ফুটেজ সম্প্রচারের জন্য অপরাধীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। এজন্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানালেও, তাদের মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট চিত্র সাংবাদিক, ২০ মিনিট ধরে ছবি না তুলে, পুলিসে খবর দিলেন না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের কর্ণধারের ইস্তফা দেওয়া নিয়েও।
প্রশ্ন তুললেও, তাঁর নিজের দফতরের বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্নগুলি থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী গগৈ। নিগৃহীতা তরুণীর নাম পরিচয় প্রকাশের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন ও সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্যা বৃন্দা কারাট অসম সরকার ও জাতীয় মহিলা কমিশনের সদ্য প্রাক্তন সদস্যা অলকা লাম্বার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিচয় ফাঁসের কারণে ইতিমধ্যেই মহিলা কমিশন থেকে সরতে হয়েছে অলকা লাম্বাকে।
First Published: Wednesday, July 18, 2012, 11:22