Last Updated: September 17, 2013 15:48

আরও একবার লজ্জায় মুখ ঢাকল দেশ। আরও একবার প্রশ্নের মুখে নাবালক্ত্বের সংজ্ঞা। প্রশ্নের মুখে শৈশবের মানে। অসমের গুয়াহাটিতে এক নাবালিকা শিকার হল গণধর্ষণের। ধর্ষকরা সবাই তার প্রতিবেশী। এবং প্রত্যেকেই নাবালক। ধর্ষিতা কিশোরীর খেলার সঙ্গী। বয়স ১২ থেকে ১৬।
১২ বছরের মেয়েটি খেলছিল তার পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে। সেই বন্ধুরাই তাকে টেনে নিয়ে গেল একটি বাড়িতে। সারারাত ধরে চলল যৌন অত্যাচার। ধর্ষণ।
ঘটনার পরের দিন কিশোরীর বাবা-মা তাকে খুঁজে পায় বাড়িটি থেকে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে ধর্ষণ।
পাঁচ অভিযুক্ত কিশোর বর্তমানে পুলিসি হেফাজতে। আগামীকাল তাদের জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হবে। নির্যাতীতা কিশোরীর বর্তমান ঠিকানা অসমের `স্টেট হোম ফর উইমেন`-এর পুনর্বাসনকেন্দ্র।
দিল্লি গণধর্ষণে দোষী পাঁচ জনের মধ্যে যে নাবালক ছিল তার ভূমিকা ছিল নৃশংসতম। চলন্ত বাসে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়েনি সে। লোহার রড মেয়েটির গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে বার করে এনেছিল তাঁর অন্ত্র। এই ঘটনার পর বিতর্কের মুখে সৃষ্টি হয়েছিল নাবালক্ত্বের বয়স নিয়ে। জোরালো দাবি উঠেছিল সাবালক হওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার। কিন্তু সংসদে সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়। অসমের ঘটনা আরও একবার সেই বিতর্ককে জাগিয়ে দিল। আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল অভিশপ্ত শৈশবের বিকৃত ভয়াবহতা।
First Published: Tuesday, September 17, 2013, 15:48