Last Updated: December 29, 2013 11:03

নিরাপত্তা রক্ষীবিহীন এটিএম কাউন্টারগুলি সুরক্ষিত নয়। পুলিস প্রশাসনের তরফে এই নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হল বিধাননগর কমিসারেটের এলাকাভুক্ত এটিএম কাউন্টারগুলিতে। বিধাননগর কমিসারেটের তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এই এলাকার বেশিরভাগ এটিএম কাউন্টার এখনও রক্ষীবিহীন। প্রশ্ন উঠছে নাগরিক সুরক্ষা নিয়ে নিজেদের দায় এড়াতেই কি এই নোটিস?
২০১৩-র ১৯ নভেম্বর ব্যাঙ্গালোরের মতো মেট্রোপলিটন শহরে এইভাবেই আক্রান্ত হয়েছিলেন এক এটিএম গ্রাহক। আর সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হাড় হিম হয়ে গেছিলো সারা দেশের। আতঙ্কে রাতে এটিএমে কমে গেছিল গ্রাহক সংখ্যা। টাকা তুলতে এসে দুষ্কৃতীর শিকার হয়ে টানা ৩ ঘণ্টা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই মহিলা।
এইঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে বিধাননগর কমিসারেট। ২৯ নভেম্বর কমিসারেটের এয়ারপোর্ট ডিভিশনের এডিসিপি সন্তোষ নিম্বালকর নিউটাউন থানায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। এয়ারপোর্ট থানা, এয়ারপোর্ট এন এস সিবিআই থানা, বাহগুইআটি থানা এবং নিউটাউন থানার অধীনে নিরাপত্তারক্ষীবিহীন এটিএম কাউন্টারগুলিতে অবিলম্বে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কেটে গেছে একমাস। আদৌ কি কার্যকর হয়েছে সেই নির্দেশ?
পুলিস প্রশাসনের নির্দেশ যে আদৌ কার্যকর হয়নি তা এই ছবিই বলে দিচ্ছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোন থানার অধীনে কতগুলি এটিএম রয়েছে-
এয়ারপোর্ট থানার অধীনে রয়েছে ১৫ টি এটিএম
এয়ারপোর্ট এন এস সিবিআই থানার অধীনে রয়েছে ৩ টি
বাহগুইআটি থানার অধীনে রয়েছে -৪৯ টি
এবং নিউটাউন থানার অধীনে রয়েছে - ১৫টি এটিএম
অর্থাত্ মোট ৮২ টি এটিএম কাউন্টারের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীবিহীন।
অন্যদিকে ব্যাঙ্গালোরের ঘটনার পর এখনও আতঙ্কে রয়েছেন গ্রাহকরা।
এরপরই গত সাতাশে ডিসেম্বর রক্ষীবিহীন এটিএমগুলিতে বিধাননগর কমিসারেটের তরফে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নোটিসে বলা হয়েছে এটিএমগুলি সুরক্ষিত নয়। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই নোটিসের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে নাগরিক সুরক্ষার যাবতীয় দায় ব্যাঙ্কগুলির ঘাড়েই দিতে চাইছে পুলিসপ্রশাসন? .
First Published: Sunday, December 29, 2013, 11:03