Last Updated: August 24, 2012 14:31

বারাসতের পর এবার বাগনান। বোনকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায়, ইভটিজারদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন দাদা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফিরে এসেছে বারাসতের রাজীব হত্যার আতঙ্ক। একদিকে মহিলাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে উঠে এসেছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গও।
শুক্রবার দুপুরে পানিত্রাস হাইস্কুলের ক্লাস টুয়েলভের এক ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সঙ্গে ছিলেন তার মাসতুতো দাদা উত্তম দলুই। পথে দুই যুবক তাঁদের পিছু নেয়। অভিযোগ অনেকক্ষণ ধরেই ওই ছাত্রী এবং তার দাদাকে উত্যক্ত করছিল তারা। বাগনানের এনডি ব্লকের কাছে পৌঁছে দুই যুবক ছাত্রীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে। সেইসঙ্গে চলতে থাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। দাদা উত্তম দলুই প্রতিবাদ জানাতে গেলে, ইভটিজাররা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তম দলুইকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে ছাত্রীর পরিবার।
বাগনান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইভটিজারদের মধ্যে কেউই পরিচিত ছিল না বলে জানিয়েছে ওই ছাত্রী। এক অভিযুক্তের নাম জানতে পেরেছে পুলিস। তার বাড়িতে তল্লাসিও চালানো হয়। কিন্তু ওই যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তার সন্ধান মেলেনি।
বারাসত থেকে বাগনান। ইভটিজিংয়ের ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। দিদি রিঙ্কু দাসকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিল ভাই রাজীব। আতঙ্কে অপমানে বিধ্বস্ত রিঙ্কু সেদিন ভাইকে বাঁচাতে চেয়ে পুলিসকর্তার বাংলোর সামনে চিত্কার করেছিলেন। কিন্তু কারও কাছ থেকেই কোনও সাড়া পাননি। পুরো ঘটনাটাই ঘটেছিল রাতের অন্ধকারে। বাগনানে ইভটিজিংয়ের ঘটনা একেবারে দুপুরবেলার। ফলে প্রমাণ হয়ে গেল, মিডিয়া, মানবাধিকার কমিশন, যেখানে যতই হইচই হোক না কেন, ইভটিজাররা বহাল তবিয়তেই তাদের দৌরাত্ম্য চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বারবার উঠে আসছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
First Published: Friday, August 24, 2012, 22:36