Last Updated: July 12, 2013 09:27

জঙ্গলমহলে প্রথম দফার নির্বাচনের ব্যালট বাক্সের পাহারাতেও নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেখানেও সেই রাজ্য পুলিসের কর্মীরাই। গতকাল সতেরো ঘণ্টায় শেষ হয় জঙ্গলমহলে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের পরও কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাসের খবর মেলে। নয়াগ্রামে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এক সিপিআইএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ওই মহিলা প্রার্থীর স্বামীর। গুলিবিদ্ধ আরেক আত্মীয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর
বিকেল পাঁচটার পরও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ভোট শেষ হতে দেরি হবে। শেষপর্যন্ত ভোটপ্রক্রিয়া মিটতে রাত দশটা বেজে যায়। রাত বারোটা পার করেও কোনও কোনও বুথের ভোটকর্মীরা বাড়ি ফিরেছেন। এরই মধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, সেক্টর অফিসে ব্যালট বক্সের পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায়। সেখানেও রাজ্য পুলিসের কর্মীদেরই মোতায়েন করা হয়েছে। নয়াগ্রাম ও বাঁধগোড়া থেকে মিলেছে নির্বাচন পরবর্তী হামলার খবর। নয়াগ্রামের উপরপাতিনায় সিপিআইএম প্রার্থী জয়ন্তী মণ্ডলের বাড়িতে হামলা হয়। মারধরে মাথা ফেটে গেছে তাঁর স্বামীর। গুলি লেগেছে আরেক আত্মীয়র। বাঁধগোড়ার মেটালা বুথে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ভোটারদের।
বাঁকুড়া
একই ছবি বাঁকুড়াতেও। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও চোখে পড়ে লম্বা লাইন।
পুরুলিয়া
পুরুলিয়াতেও বিভিন্ন বুথে অনেক রাত পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। চোখে পড়ে মহিলাদের উপস্থিতি। তবে আড়শা ব্লকে কলকাতা পুলিসের কয়েকশো কর্মীর থাকার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় উঠেছে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ।
এই উত্সাহেই দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন সাধারণ মানুষ। কোনওরকম বিরক্তি ছাড়াই।
First Published: Friday, July 12, 2013, 09:49