Last Updated: February 16, 2013 17:42

বাংলাদেশে উত্তেজনা আরও বাড়ল। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে এখনও অশান্ত বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন মোট ষোলজন। গতকাল পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে জামাত শিবিরের চারজনের। আজ সকালে আন্দোলনের আহ্বায়ক এক ব্লগারের গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত ব্লগারের নাম রাজীব হায়দার।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোটা বাংলাদেশ এখন গর্জে উঠেছে।
শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী রাজীবকে শুক্রবার রাতে মিরপুরের পলাশনগরে হত্যা করা হয়। রাজীব ব্লগে নানা চাঞ্চল্যকর কথা বলতেন। এজন্য তাকে সম্প্রতি একটি ব্লগের পোস্ট থেকে হুমকিও দেওয়া হয়।
যেখানে স্লোগানে কণ্ঠ মেলাতেন রাজীব, সেই প্রজন্ম চত্বরে নিথর রাজীবের মৃতদেহ এসে পৌঁছয় শনিবার বিকালে। গণজাগরণ মঞ্চে রাজীবের জানানো হয়, শ্রদ্ধা জানাবেন সহযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নতুন প্রজন্মের এই ‘মুক্তিযোদ্ধাকে’ গার্ড অফ অনার দেয়ার জন্যও তৈরি।
শাহবাগের জনসমুদ্র উত্তরে শেরাটন হোটেল থেকে দক্ষিণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি ছাড়িয়েছে। পূর্বে রমনা ফটক থেকে পশ্চিমে কাঁটাবন পর্যন্ত বিস্তৃত এই সমাবেশ।
রাজীবের মরদেহ আসার মুহূর্তে সবার কণ্ঠে স্লোগান ছিল- ‘শহীদ রাজীবের রক্ত/বৃথা যেতে দেব না,’ ‘শহীদ রাজীব শিখিয়েছে/লড়াই করে বাঁচতে হবে’, ‘এক রাজীব লোকান্তরে/লক্ষ রাজীব শাহবাগে’। তবে জাতীয় পতাকায় মোড়া রাজীবের মরদেহ যখন মঞ্চে ওঠানো হচ্ছিল, তখন সমাবেশে ছিল নীরবতা।
রাজীব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে মিরপুরে বড় আন্দোলন হয়। বিক্ষোভ হয়েছে কাপাসিয়ায়ও।
এই উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। সলমান খুরশিদের দুই দিনের এই সফরে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা করা হবে।
First Published: Saturday, February 16, 2013, 17:43