Last Updated: March 27, 2012 10:13

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার দাবি নিয়ে ৪২তম স্বাধীনতা দিবস পালন করল বাংলাদেশ। প্রতিবছরের মতো এবারও মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন পদ্মাপারের ১৬ কোটি বাঙালি।
১৯৭১-এর ২৬ মার্চ ঢাকায় সামরিক অভিযান শুরু করে পাক সেনা। শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। ন-মাস পর ১৬ ডিসেম্বর ভারতের পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার ইন চিফ, লেফটেন্যান্ট জেনেরল জগজিৎ সিং আরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন পাক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লা খাঁন নিয়াজি। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন রাষ্ট্রে সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর দিনটি বিজয় দিবস ও ২৬ মার্চ দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়। বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সেই স্বাধীনতা পা রাখল ৪২ বছরে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অগণিত মানুষের সমাগমে সারাদিন সৌধ প্রাঙ্গন ছিল ভিড়ে ঠাসা। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কচিকাঁচারা। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশজুড়ে যুদ্ধাপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী রাজাকারদের বিচারের দাবির মধ্যেই এবার বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত হল।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, বাচিকশিল্পী ও সংবাদপাঠক দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে সম্মানিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকেও দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার।
First Published: Tuesday, March 27, 2012, 10:13