Last Updated: November 6, 2013 19:50

লাগাতার অস্থিরতায় ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। শাসক দলের সঙ্গে বিরোধী দলের সমঝোতার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। দেশের এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য নয়াদিল্লিকেও দুষেছে বিএনপিএ। আওয়ামি লিগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি শীর্ষ নেতারা।
বছরের শুরু থেকেই সংঘাতের ক্ষেত্রটা তৈরি হচ্ছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সংবিধান সংশোধন ঘিরে আওয়ামি লিগের সঙ্গে বিএনপির সংঘাতের সূত্রপাত। নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই দুদলের মধ্যে মতপার্থক্য তীব্র হচ্ছে। দাবি আদায়ে আন্দোলন, হরতালের পথই বেছে নিয়েছে খালেদা জিয়ার বিএনপিএ সহ আঠের দলের জোট। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের টানাপোড়েনের জেরে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ভোট হলেও তা কতটা সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের ফলে আশার আলো দেখা দিয়েছিল। দুদলের সমঝোতার সেই রূপোলী রেখাও অদৃশ্য। সংঘাতের আবহে অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। রাজনৈতিক বৈরিতা থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহম্মদ আফরাফ আলি।
তবে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে বিবাদ মেটার সম্ভাবনা কম। একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য নয়াদিল্লিকে দায়ী করেছে বিএনপির একাংশ। একদলীয় সরকার রেখে দেওয়ার জন্য ভারত টাকা ঢালছে বলেও অভিযোগ বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের। হরতালের শেষদিন বুধবারে রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। ঢাকার পাশাপাশি নাটোর, রাজশাহী, কুমিল্লা, বগোরাসহ বিভিন্ন জেলা এবং শহরেও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হরতাল মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিস এবং আধা সেনা মোতায়েন করেছিল সরকার।
First Published: Wednesday, November 6, 2013, 19:50