বিএসএফ-এর `শিকার` হাবিবুর এখনও আতঙ্কে

বিএসএফ-এর `শিকার` হাবিবুর এখনও আতঙ্কে

বিএসএফ-এর `শিকার` হাবিবুর এখনও আতঙ্কেমুর্শিদাবাদের রানিনগরে বিএসএফ-এর হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি যুবকের সন্ধান জানাল সে দেশের মিডিয়া। হাবিবুর রহমান নামে বছর বাইশের এই যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের সতের রশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ৯ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে কাহারপাড়া সীমান্ত পেরিয়ে রাজশাহীর পবা উপজেলার খানপুরে ঢোকার সময় বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ে হাবিবুর। আর তারপর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের শিকার হয় সে।

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে হাবিবুর কবুল করেছে, নিয়মিত ভাবেই গরু আনার জন্য গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে মুর্শিদাবাদ যেত সে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর মনকষা বিওপি'র সামনে সে জানায়, গরু না পেয়ে ফিরে আসার সময় রাত ১১টা নাগাদ সীমান্ত পেরোতে গিয়ে ধরা পড়ে সে। তার কাছে থাকা টর্চ ও মোবাইল ফোনের পাশাপাশি নগদ হাজার টাকা দাবি করে জওয়ানরা।
বিএসএফ-এর `শিকার` হাবিবুর এখনও আতঙ্কে

টাকা দিকে অস্বীকৃত হলে একটি ট্রাক্টরে তুলে হাবিবুরকে ক্যাম্পে নিয়ে যায় জওয়ানরা। এর পর তাকে নগ্ন করে, বাঁশে বেঁধে প্রচণ্ড মারধোর করা হয়।

মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর হাবিবুরকে ক্যাম্পের কাছে একটি সরষে ক্ষেতে ফেলে চলে যায় বিএসএফ জওয়ানরা। জ্ঞান ফেরার পর কোনওমতে সীমান্ত পেরিয়ে বাড়ি ফেরে হাবিবুর। সপ্তাহ খানেক চিকিত্‍সার পর এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে সে। তবে মন থেকে আতঙ্ক কাটেনি একেবারেই।
বিএসএফ-এর `শিকার` হাবিবুর এখনও আতঙ্কে

গতকাল হাবিবুরকে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর তড়িঘড়ি কাহারপাড়া সীমান্ত চৌকিতে কর্মরত ১০৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ৭ কনস্টেবল এবং ১ সিনিয়র হাবিলদারকে সাসপেন্ড করে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ সরকারের তরফে বৃহস্পতিবার বিএসএফ-এর অত্যাচার নিয়ে কড়া আপত্তি জানান হয়। এদিন নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জওয়ানদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি বিএসএফ কর্তৃপক্ষের তরফে পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।


First Published: Thursday, January 19, 2012, 22:05


comments powered by Disqus