Last Updated: April 14, 2013 20:51

রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের শেষ। এই স্লোগ্নানকে সামনে রেখে নতুন বছরকে বরণ করে নিল বাংলাদেশ। রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ তৈরির ডাক দিলেন দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় পা মেলালেন আট থেকে আশি সকলেই।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, চাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। নতুন বছরের সকালে দলমত নির্বিশেষে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ছিল এই দাবি। প্রতিবারের মতোই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু রাজধানীর রমনা বটমূলে। ছায়ানটের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান হাজির হয়েছিলেন দেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ছাপিয়ে উঠল সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতিরোধের আহ্বান।
বর্ষবরণের সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় সামিল হলেন লক্ষ মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে হোটেল রূপসী হয়ে ফের চারুকলাতেই শেষ হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় নজর কাড়ে প্রতিবাদী স্লোগানের ফেস্টুন, কারো হাতে ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন পতাকা।শোভাযাত্রায় একেবারে সামনে ছিল যুদ্ধপরাধীদের প্রতীক বিশালকায় এক দানব। ভিনদেশী দানবদের দেশছাড়া করার আওয়াজ উঠল শোভাযাত্রা থেকে।
শোভাযাত্রায় সাধারণ মানুষের সঙ্গেই পা মেলান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চারুকলা ডিন সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। শোভাযাত্রা ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পুলিস।
First Published: Sunday, April 14, 2013, 20:54