জল নামছে, এবার ঘর বাঁধার পালা

জল নামছে, এবার ঘর বাঁধার পালা

জল নামছে, এবার ঘর বাঁধার পালা ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে বাঁকুড়ার জনজীবন। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় জেলার সবকটি নদীতেই জলস্তর কমতে শুরু করেছে। রবিবার বিকেলে দ্বারকেশ্বর নদে তলিয়ে গিয়েছিল ১ যুবক। সোমবার দিনভর তল্লাসির পর উদ্ধার হয় দেহ। অন্যদিকে বড়জোড়া থানা এলাকায় দেওয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় বাঁকুড়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। জেলার সবকটি নদীতেই জলস্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছে। নিচু সেতুগুলি থেকেও জল সরে যাওয়ায় বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে কংসাবতীর মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে সোমবারও সাড়ে ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় কেচন্দা সেতুর উপর দিয়ে এখনও জল বইছে।

ফলে বাঁকুড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়কে যান চলাচল আপাতত বন্ধ। রবিবার বিকেলে দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল কারকডাঙা গ্রামের সুমন কারকের। সোমবার দিনভর তল্লাসির পর বিকেলে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন বিশেষ উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা। এদিকে সোমবার বড়জোরা থানার সাহারজোড়া গ্রামে বাড়ির পাঁচিল ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন বছর ছাব্বিশের কাজল ঘোষ ও তাঁর ছ বছরের মেয়ে তনুশ্রী। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

First Published: Tuesday, October 29, 2013, 09:53


comments powered by Disqus