Last Updated: December 31, 2012 11:12

বারাসতের সোনাখরকিতে নিহত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তা জানতে আজ ফের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে ভিসেরা এবং ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। তবে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে কুপিয়ে খুনের কথাই বলা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। খুনের ঘটনায় ইছা মোড়ল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতকে জেরা করে রবিবার ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি উদ্ধার হয়েছে। ইছা মোড়লকে দশদিন পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইটভাটার ১২ জন কর্মীকেও আটক করা হয়েছে। মহিলার স্বামী এখনও আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক রয়েছে বলে ।
বারাসতে খুনের ঘটনায়, নিহত মহিলার পরিবারের সদস্যদের বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। মহিলার ছেলে জানান, বাবা রক্তবমি করতে করতে বাড়ি ঢুকে মায়ের ওপর হামলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পুত্রবধূর বক্তব্য, তাঁর শ্বশুর জানতে চান, স্ত্রী ইটভাটা থেকে ফিরেছেন কি না। ফেরেনি জেনে স্ত্রীকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফলে ওই ব্যক্তি ইটভাটা থেকে আহত অবস্থায় বাড়িতে এসেছিলেন, নাকি মাঝে আরও একবার এসেছিলেন, তা পরিষ্কার নয়। ইটভাটার কাজ শেষ হয়েছিল বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। ছেলের দাবি, বাবা সন্ধে সাড়ে ৬টায় রক্তবমি করতে করতে বাড়িতে ঢোকেন। বাড়ির খুব কাছেই ইটভাটা। মাঝের এক ঘণ্টা কে কোথায় ছিলেন, তা জানা যায়নি।
গতকাল সোনাখরকি এলাকায় ওই পুকুরের পাড় থেকেই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পুকুরে তল্লাসি চালিয়ে কালই সেখান থেকে একটি হাতুড়ি এবং একটি হাঁসুয়া উদ্ধার করে পুলিস।
First Published: Monday, December 31, 2012, 11:22