Last Updated: March 28, 2014 20:39

নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটারদের টাকা বিলির অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার পুলিস সুপারের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাব ও ব্যক্তিকে সরকার চেক বিলির উদ্যোগ নেয় বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি জেলাশাসককে জানান বাঁকুড়া কেন্দ্রের বাম প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়া।
২৪ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন জেলাশাসককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে। কমিশনের আরও নির্দেশ, কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলে জেলাশাসককে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।ভোটারদের প্রভাবিত করতে বাঁকুড়া কেন্দ্রে টাকা ছড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনই অভিযোগ করলেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়া। তথ্য পেশ করে তাঁর দাবি, নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর একুশে মার্চ বাঁকুড়া ট্রেজারি থেকে বিল নম্বর 1672, 1673 মারফত পুলিস সুপারের একাউন্টে জমা করা হয় অট্টআশি লক্ষ উনতিরিশ হাজার টাকা। বাঁকুড়া ট্রেজারি থেকে দুটি চেক ইস্যু হয়। একটিতে আশি লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা ও আরেকটিতে আট লক্ষ চার হাজার টাকা তোলা হয়। এসবিআই বাঁকুড়া থেকে আটশটি চেক বিভিন্ন ক্লাব ও ব্যক্তির নামে পঁচিশে মার্চ ও ছাব্বিশে মার্চ ইস্যু করা হয়। গোপনে টাকা বিলির খবর জানতে পেরে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান বাসুদেব আচারিয়া।
টাকা বিলির কথা স্বীকার করে নিলেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র।
টাকা বিলি করলেও বিধি লঙ্ঘন হয়নি বলেই দাবি জেলাশাসকেরও।
জেলাশাসক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
First Published: Friday, March 28, 2014, 20:39