শরীর সুস্থ রাখতে `বস হইতে সাবধান`

শরীর সুস্থ রাখতে `বস হইতে সাবধান`

শরীর সুস্থ রাখতে `বস হইতে সাবধান`অফিসে বস অনেকটা বাড়ির পাশে প্রতিবেশীর মত। যার উপস্থিতি এবং কার্যকলাপ আপনার জীবনে খুশি অথবা দুঃখের প্রভূত কারণ বয়ে আনতে পারে। ভাল প্রতিবেশী পাওয়াটা যেমন বেশ ভাগ্যের বিষয়, ভাল বসও কিন্তু ভাগ্যবানদের কপালেই জোটে। খিটখিটে বদমেজাজী বদ শুধু মাত্র আপনার মেজাজ নয় বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে আপনার স্বাস্থ্য ও জীবন ধারণের মানের।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে একজন বদরাগী বস, যিনি দিনের বেশীর ভাগ সময়টাই ব্যয় করেন অধঃস্তন কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে, অকারণ অপমানে এবং কর্মচারীদের মধ্যে বিবেধ তৈরি করে তিনি শুধু কম্পানির সার্বিক বৃদ্ধি ব্যহত করেন তাই নয়, কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেন ও তাঁদের জীবনটাই দুর্বিষহ করে তোলেন।

মনোবিদদের মতে ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে এই বস সম্প্রদায়কে মোটামুটি তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। প্রথম শ্রেণীর বসেরা কর্মচারীদের বিশ্বাস করতে পারেন না। দ্বিতীয় শ্রেণীর বসেরা যেনতেন উপায়ে কর্মচারীদের থেকে কাজ উদ্ধারে বিশ্বাসী এবং তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত বসেরা অনিশ্চিত মানসিকতার হন। যাঁরা সারাক্ষণ নিজেদের ও সহকর্মীদের কাজ নিয়ে বেজায় চিন্তায় থাকেন। ঠিক করেই উঠতে পারেন না কী ভাবে কাজ করবেন।

এই ধরনের বসেরা কোম্পানি সঙ্গে কর্মচারীদের পক্ষেও ক্ষতিকর। কাজের জায়গায় মানসিক শান্তির অভাব কর্মচারীদের শরীরেও গভীর প্রভাব ফেলে। স্ট্রোক, হার্টের সমস্যার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। ড্রিপ্রেসন ও উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। পেশীর যন্ত্রণা, মাইগ্রেন বৃদ্ধি করে। এমনকী সার্বিক দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় গভীর প্রভাব ফেলে। অফিসের সারাক্ষণ অকারণ চাপ নষ্ট করে কর্মচারীদের পারিবারিক জীবন। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মত রোগগুলিকে ইন্ধন যোগায়।

সম্প্রতি অ্যাসোচ্যামের একটি সমীক্ষায় কর্পোরেট জগতে যারা কাজ ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন তাঁদের শতকরা ৬৯ কাজ ছাড়েন বসেদের জন্য। কর্মক্ষেত্রে ৫৬% কর্মচারী বসের দুর্ব্যবহারের শিকার হন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ ছেড়ে দেওয়া বা অন্য কোনও কেরিয়ার বেছে নেওয়ার কারণও সেই বস।


First Published: Monday, October 28, 2013, 16:21


comments powered by Disqus