Last Updated: May 2, 2012 20:41

ঘুঘুর বাসা বেলতলায়। পরিবর্তনের পরও একটুকু বদলায়নি পরিস্থিতি। ডানপন্থীদের জমানাতেও সমানে জারি "বাঁয়ে হাত কা খেল"। রেট চার্ট ধরে ঘুষের অংক হাতে গুঁজে না-দিয়ে কাজ সারে, কার সাধ্যি। দালাল, অফিসার ও পুলিসের ত্রহস্পর্সে ত্রাহি ত্রাহি রব সাধারণ মানুষ ও চালকদের। কলকাতা সড়ক পরিবহণের প্রধান দফতর বেলতলা মটোর ভেইকেল্সকে দূর্নীতিমুক্ত (পড়ুন ঘুষমুক্ত) করতে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি মিলেছে পরিবহণমন্ত্রীদের তরফে। দূর্নীতিদমন দফতরের একাধিক হানা, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে স্টিং অপারেশনও চিঁড় ধরাতে পারেনি বেলতলার সুগঠিত ঘুষ ব্যবস্থায়। এহেন বেলতলায় এবার হানা দিলেন ট্যাক্সিচালকরা। বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযানে হাতে নাতে ধরা পড়েও তাপ-উত্তাপ নেই পুলিশকর্মী ও দফতরের কর্মচারীদের। উল্টে সাফাই গাইছেন তাঁরা।

অভিযান শুরু হয় বেলা সাড়ে এগারোটায়। সই করে বেশ কয়েকটি ১০ টাকার নোট সংগঠনের সদস্যদের হাতে তুলে দেন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিমল গুহ। নোটগুলি নিয়ে চালকরা ঢুকে পড়েন বেলতলা মটোর ভেইকেল্স দফতরের ভিতর। দালাল ঘুষ চাইতেই বাড়য়ে দেন সই করা টাকা। এভাবেই ধরা পড়ে এক দালাল। জেরার মুখে ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারার কথা স্বীকার করে সে। জানায় ঘুষের ৩০ টাকার ১০ টাকা মটোর ভেইকেল্স আধিকারিকদের হিস্সা। ১০ টাকা পান পুলিসকর্মীরা আর বাকি ১০টি টাকা ঢোকে তার পকেটে। একই ভাবে ধরা পড়েন মটোর ভেইকেল্স দফতরের ভিতর কর্তব্যরত এক পুলিসকর্মীও। জেরার মুখে পাল্টা আক্রমণ করে তিনি বলেন, "সংসার চালাতে গেলে একটু আধটু ঘুষ নিতেই হয়।" যদিও চালকদের চাপের মুখে কিছুক্ষণের মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন পুলিসকর্মীরা।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল দিনকয়েক আগেই। ট্যাক্সি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছিল বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন। এর পর ওই সংগঠন ও তার সভাপতি বিমল গুহর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ করেন পরিবহণমন্ত্রী। এদিনের বেলতলা অভিযানের পর পাল্টা চাপে মদন মিত্র।
First Published: Thursday, May 3, 2012, 17:41