Last Updated: January 14, 2013 23:24

আজ থেকে হলদিয়ায় শুরু হচ্ছে বেঙ্গল লিডস। শিল্পপতিদের এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক মুহূর্তেও তালিকায় নাম নেই দেশের বড় কোনও শিল্পপতির। এরাজ্যে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা আছে, শিল্পপতিদের কাছে সেই ছবি তুলে ধরতেই বেঙ্গল লিডসের আয়োজন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রথম বেঙ্গল লিডস অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়। বেঙ্গল লিডসের এবার দ্বিতীয় বছর। কিন্তু এবার অনেকটাই বর্ণহীন বেঙ্গল লিডসের আসর। আসছেন না দেশের প্রথম সারির শিল্পপতির কেউই।
ভাইব্রেন্ট গুজরাটের আদলে পশ্চিমবঙ্গে বেঙ্গল লিডস। লক্ষ্য বিনিয়োগকারীদের সামনে রাজ্যকে তুলে ধরা। এরাজ্যে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা আছে, শিল্পপতিদের কাছে সেই ছবি তুলে ধরতেই বেঙ্গল লিডসের আয়োজন। কিন্তু এবার অনেকটাই বর্ণহীন বেঙ্গল লিডসের আসর। আসছেন না দেশের প্রথম সারির শিল্পপতির কেউই। অনুষ্ঠানে জাতীয়স্তরের ৫০০জন শিল্পপতি ও শিল্পসংস্থার কর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ৬৫জন বেঙ্গল লিডসে উপস্থিত থাকতে পারেন। এদের অধিকাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার প্রতিনিধি। বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সংখ্যা খুবই কম। রাশিয়া ও জার্মানি থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি অবশ্য বেঙ্গল লিডসে অংশ নেবেন। এরা ইস্পাত বা খনি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মাঝারিমানের শিল্পপতি।
কিন্তু কেন ম্লান বেঙ্গল লিডস? কেনই বা আমন্ত্রিত শিল্পপতিদের অনুপস্থির হার এত বেশি?
উত্সাহ হারানোর প্রধানতম কারণ সরকারের জমি নীতি। ইতিমধ্যে জমি নীতি নিয়ে সরবও হয়েছেন শিল্পপতিরা। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, জমির জন্য দরবার করেও জমি পাওয়া যাচ্ছে না। মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও। প্রায় রোজই রাজ্যের কোথাও না কোথাও রাজনৈতিক অশান্তি হচ্ছে।
বেঙ্গল লিডসের মাত্র দুদিন আগে খোদ হলদিয়াতেই রাজনৈতিক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে ডিওয়াইএফআই-এর সভামঞ্চ।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে বিনিয়োগে সমস্যা তৈরি করছে তোলাবাজদের দাপট। অতি সম্প্রতি রাজনৈতিক চাপে এবিজি গোষ্ঠীকে হলদিয়া ছাড়া করার ঘটনাও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সব মিলিয়ে শিল্পবান্ধব পরিবেশের অভাবকেই রাজ্যে বিনিয়োগের খরার কারণ বলে মনে করেছে শিল্পমহল।
First Published: Tuesday, January 15, 2013, 14:09