Last Updated: April 24, 2014 06:52
লকারের বিতর্কের জেরে অবশেষে সাফাই দিতে হল বিধাননগর কমিশারেটকে। গোয়েন্দাপ্রধান অর্নব ঘোষের দাবি, আইন মেনেই পিয়ালি সেনের লকার খুলেছিল পুলিস। যদিও তাতে চিঁড়ে ভিজল না। লকার বিতর্কে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি।
পিয়ালি সেনের লকার খোলা নিয়ে মঙ্গলবারই বিতর্কে জড়িয়েছিল বিধাননগর পুলিস কমিশারেট। কমিশারেটের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে ইডিকে লকার খোলা থেকে বিরত রাখার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল ইডির তদন্তে অসযোগিতারও। বুধবার সাফাই গাইতে আসরে নামলেন কমিশারেটের গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ। তাঁর দাবি, ইডির তদন্তে সহযোগিতা করতেই সল্টলেকের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের লকার ভেঙেছে কমিশারেট। লকার ভাঙার পর যাবতীয় তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে ইডির হাতে।
গোয়েন্দাপ্রধান যতই যুক্তি দিন না কেন সন্তুষ্ট নয় ইডি। গোয়েন্দাপ্রধানের সাফাইয়ের পরও উঠছে বেশকিছু প্রশ্ন,
প্রশ্ন ১
১ বছর আগে ওই লকারটি সিল করা হলেও এতদিন কেন লকারটি খোলা হয়নি
প্রশ্ন ২
ইডি যখন লকারটি খুলতে গেল তখনই কেন লকার খোলার প্রয়োজনীতা অনুভব করল বিধাননগর কমিশারেট?
প্রশ্ন ৩
ইডি যদি লকারটি খুলে কমিশনারেট কে জানাত তাহলে কী অসুবিধা ছিল
প্রশ্ন ৪
সারদার ১০২ নং মামলা অতি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি বিধাননগর কমিশারেটের। কারণ এই মামলাতেই সারদার টাকা কোথায় গেল তার খোঁজ হচ্ছে। তাহলে এতদিন কেন সুদীপ্ত -পিয়ালির যৌথ লকারটি খোলা হয়নি?
এইসব প্রশ্নের উত্তরে গোয়েন্দা প্রধান যতই সাফাই দিন কেন তা সন্তোষ জনক বলে মনে করছে না ইডি। সেজন্যই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যদিও এনিয়ে প্রকাশ্যে বিতর্ক বাড়াতে চাইছেনা ইডি। বরং এতদিন তদন্তে লাভবানদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে সেই তালিকার মূল লোকদের সনাক্তকরণেই বেশি মন দিতে চাইছেন তাঁরা। এজন্য তৃণমূলের রাজ্যসভার এক সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিঠি দিয়েছে ইডি। ডেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতা ও অসমের কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও। ইতিমধ্যেই পিয়ালির কললিস্ট ঘেঁটে পাওয়া সুদীপ্ত সেনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
First Published: Thursday, April 24, 2014, 06:52