Last Updated: September 17, 2013 22:23

অগণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের কথা বলেও শেষমেষ পিছু হটলেন বিমল গুরুং। চরম হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেই দলের মধ্যে বিরোধিতার মুখে পড়েন মোর্চা সভাপতি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীও জানিয়ে দেন আইন হাতে তুলে নিলে আরও কড়া পদক্ষেপে নেওয়া হবে। এরপরই ফেসবুক বার্তায় মোর্চা সভাপতি বলেন ২০ অক্টোবর থেকে তীব্র আন্দোলনের জন্য গোর্খাল্যান্ডের মানুষকে তৈরি থাকতে হবে। এপর্যন্ত পাহাড় ও ডুয়ার্সের মানুষ গোর্খাল্যান্ডের জন্য যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন তার মর্যাদা দিতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যকে।
ফেসবুকে বিমল গুরুং বলেন, আন্দোলন গণতান্ত্রিক পথেই হবে। কিন্তু সরকারকে তার মর্যাদা দিতে হবে। অতীতে বহু অগণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে। মোর্চা সভাপতি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে তারা যোগ দেবেন, কিন্তু কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যাবেন না। আলোচনার মাধ্যমেই গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর সমাধার সম্ভব বলে মনে করেন গুরুং। যুবসম্প্রদায়, নারীমোর্চা,ছাত্র, প্রাক্তন সেনাকর্মী, শিক্ষক এমন সকলের কাছে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে প্রকাশ্যে সমর্থনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিমল গুরুং। আন্দোলনকে দমন করতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে ভয় না পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
কোনও শক্তি দিয়েই এই আন্দোলনকে শেষ করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন মোর্চা সভাপতি। বিদেশে থেকে টাকা পাচ্ছে মোর্চা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। এবার শাসক দলকে পাল্টা বিঁধলেন মোর্চা সভাপতি। বিমল গুরুং বললেন, তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা কোথা থেকে টাকা তোলেন সেই প্রমাণ সময়মতো প্রকাশ্যে আনবেন।
First Published: Tuesday, September 17, 2013, 22:23