Last Updated: September 18, 2013 09:44

আচমকাই আক্রমণাত্মক মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। তাঁর হুঁশিয়ারি, সরকার গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের ভাষা বোঝে না। তাই পাহাড়ে এ বার অগণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন হবে। তবে গোর্খাল্যান্ড সমস্যার সমাধানে কোনও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হলে, সেখানে মোর্চা নেতৃত্ব অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিমল গুরুং।
ফের আক্রমণাত্মক বিমল গুরুং।
তাঁর মন্তব্য, পাহাড়ের মাটি রক্ত চাইছে। তাই এবার আন্দোলন হবে অগণতান্ত্রিক। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে আন্দোলন শুরুর পর থেকে এই প্রথম অগণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের কথা বললেন মোর্চা সভাপতি। বিমল গুরুংয়ের হঁশিয়ারির পরেই ফোনে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে এধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক।
গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে অগণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের কথা বলে ফের দলের অন্দরেই বিরোধিতার মুখে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। অগণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনে সায় নেই বলে জানা হরকাবাহাদুর ছেত্রী।
মুখে অগণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের কথা বললেও, গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে যে তারা রাজি, মঙ্গলবার এক জনসভায় সেই ইঙ্গিত দেন বিমল গুরুং। তবে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোর্চা যোগ দেবে না বলেই জানিয়েছেন মোর্চা সভাপতি।
সমাবেশের পর মোর্চা সভাপতি ফেসবুকে লিখেছেন, ২০ অক্টোবর থেকে তীব্র আন্দোলনের জন্য গোর্খাল্যান্ডের মানুষকে তৈরি থাকতে হবে। এপর্যন্ত পাহাড় ও ডুয়ার্সের মানুষ গোর্খাল্যান্ডের জন্য যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন তার মর্যাদা দিতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যকে। বিমল গুরুং লিখেছেন, আন্দোলন গণতান্ত্রিক পথেই হবে। কিন্তু সরকারকে তার মর্যাদা দিতে হবে।
অতীতে বহু অগণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে। সেইসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই গোর্খাল্যান্ড ইস্যুর সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন গুরুং। যুবসম্প্রদায়, নারীমোর্চা,ছাত্র, প্রাক্তন সেনাকর্মী, শিক্ষক এমন সবাইকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে প্রকাশ্যে সমর্থনের জন্য ডাক দিয়েছেন বিমল গুরুং। আন্দোলনকে দমন করতে সরকারের পদক্ষেপে ভয় না পাওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন। কোনও শক্তি দিয়েই এই আন্দোলনকে শেষ করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন মোর্চা সভাপতি।
First Published: Wednesday, September 18, 2013, 09:44