Last Updated: December 14, 2011 20:22

জেলযাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথাগত রায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। বুধবার চুঁচুড়া জেলা আদালত প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এদিন চুঁচুড়া আদালত হুগলি জেলে বন্দি তথাগতবাবুর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
চলতি বছরের ৩ অগাস্ট হুগলির গুড়াপ থানার গুড়বাড়ি এলাকায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর জন্য একটি মিছিল করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ওই মিছিলেন পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরপর দুটি মিছিলের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ওইদিনই বিজেপির সভায় ভাষণ দেন তথাগত রায়। তৃণমূলের অভিযোগ তথাগত রায়ের উস্কানিমূলক ভাষণের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী স্বপন মাণ্ডি থানায় এফআইআর করে। তথাগত রায় সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গত ৯ নভেম্বর এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন পান তথাগতবাবু। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার চুঁচুড়া জেলা আদালত থেকে জামিন নেওয়ার জন্য আসেন। কিন্তু তথাগত রায় আদালতে প্রবেশের আগেই বুধবার আদালতে চার্জশিট পেশ হয়। এরপর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ৩২৬ সহ ন`টি ধারায় মামলা করেছে পুলিস। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুশ্রী মণ্ডল। এর পর তথাগত রায়কে হুগলি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতীতে উস্কানিমূলক ভাষণের দায়ে কর্নাটকে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। একই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় কৃষক নেতা প্রয়াত মহেন্দ্রজিত্ সিং টিকায়েত এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী রীতা বহুগুণা যোশিকে জেলে ভরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিগত তিন দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ ধরণের ঘটনা একেবারেই নজিরবিহীন। রাজ্য বিজেপি`র তরফে পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
First Published: Thursday, December 15, 2011, 13:47