Last Updated: June 7, 2014 21:15

বিজেপি করার অপরাধে গ্রাম ঘিরে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে খুন করা হল একজনকে। বীরভূমের ইলামবাজারের কুনুড় গ্রামে এই ঘটনায় জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জাফারুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে। জাফারুল এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় ঘটনাস্থলেই ছিল পুলিস। কিন্তু হামলা ঠেকাতে তাঁরা কোনও উদ্যোগই নেননি। লোকসভা ভোটের সময় থেকেই বারবার অশান্ত হয়েছে ইলামবাজারের কুনুড় গ্রাম। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ একটি অংশ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই হামলা, সংঘর্ষ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়।
অভিযোগ, তখন থেকেই একের পর এক হামলা হয়েছে জাফারুলের নেতৃত্বে। আজ দুপুরে গ্রাম ঘিরে ফেলে বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। চলে বোমাবাজি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন গ্রামের মহিলারা। গণ্ডগোল চলাকালীন রবিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে ধরে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। রক্তাক্ত হন আরও ৮ জন বিজেপি সমর্থক। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিজেপি সমর্থক রবিন শেখের মৃত্যু হয়। আহতদের বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইলামবাজার থানার পুলিস ঘটনার সময় পুরো নিষ্ক্রিয় ছিল। যে গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার থেকে অল্প দূরেই ইলামবাজার থানা। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাল ইলামবাজার যাচ্ছে বিজেপির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এদিকে, মোদী সরকারের বদনাম করতে রাজ্যে অশান্তি বাধাতে চাইছে তৃণমূল। অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার। বিষয়টি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
First Published: Saturday, June 7, 2014, 21:15