Last Updated: January 11, 2012 19:45

রামপুরহাট কাণ্ডে সরকারের পিঠ বাঁচাতে মহাকরণে দাঁড়িয়ে সাফাই দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার জন্য আক্রান্ত অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ওদিকে একের পর এক ঘটনাকে মিডিয়ার তৈরি চিত্রনাট্য বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, অধ্যক্ষকে নিরপেক্ষ হতে হবে। রামপুরহাট কলেজের ওই অধ্যক্ষ দলতন্ত্রে বিশ্বাসী। অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মীদের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও কথা না-বললেও, আশ্চর্যজনক ভাবে আক্রান্ত অধ্যক্ষের আচরণ নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ অর্থ তছরুপের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সাফাই, পুলিস তার দায়িত্ব পালন করেছে। অধ্যক্ষকে নিজেদের দায়িত্বে উদ্ধার করেছে পুলিস। পাশাপাশি একের পর এক শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় শিক্ষকদেরই সংশোধিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নাম না-করে কংগ্রেসকে সাবধান করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বন্ধু দল আমাদের সমালোচনা করছে। সরকার ধৈর্য রাখছে।
ওদিকে পর পর অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় ব্যতিব্যস্ত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, টিভি সিরিয়ালের মতো ঘটনা ঘটছে। আক্রমণকারী ও আক্রান্তরা তারকার মর্যাদা পাচ্ছে। বাড়াবাড়ি করছে মিডিয়া।
তবে মন্ত্রীদের সঙ্গে একমত নন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, শিক্ষক, অধ্যক্ষরা সব সম্মানীয় ব্যক্তি। পরিস্থিতি খারাপ হলে কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। আইননানুগ সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
First Published: Wednesday, January 11, 2012, 20:40