Last Updated: February 15, 2012 13:58

দিল্লির মতোই ব্যাংককে বিস্ফোরণেও নিশানা ছিল ইজরায়েলি কূটনীতিকরা। দিল্লির মতো ব্যাঙ্ককেও ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাগনেট বোমা। বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এমনটাই জানিয়েছেন তাইল্যান্ডের গোয়েন্দারা। হামলায় জড়িত তিন সন্দেহভাজন জঙ্গিই ইরানের নাগরিক বলেও জানা গেছে। এদিন ব্যাংকক পুলিসের তরফে বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত সঈদ মোরাদি-সহ তিন ইরানি অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করা হয়। পাট্টায়া অঞ্চলের একটি হোটেলে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ পিঠে নিয়ে চেক-ইন করার সময় হোটেলের সিসি টিভি থেকে এই অভিযুক্তদের ছবি পাওয়া।
তাইল্যান্ডে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইত্ঝাক সোহানের দাবি, দিল্লি এবং ব্যাংককের মতো জর্জিয়ার রাজধানী টিবলিসিতেও নাশকতার জন্য একই ধরনের চুম্বক লাগানো 'স্টিকি বম্ব' ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীরা তত্পর থাকায় শেষ পর্যন্ত বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। সোহান জানিয়েছেন, তিনটি ঘটনার সঙ্গেই জড়িত রয়েছে ইরান সরকার এবং তাদের মদতপুষ্ট শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবুল্লা।

মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংককের একামাই-সহ দু'টি এলাকায় পাঁচটি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলের ক্যামেরা ফুটেজ দেখে এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত নিজের সঙ্গে রাখা বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয়েছে। সৈয়দ মোরাদি নামের ওই ব্যক্তি ইরানের নাগরিক বলেও জানিয়েছে তাইল্যান্ড পুলিস। এই নাশকতার সূত্র ধরে আটক করা হয়েছে আরও দুই ইরানি নাগরিককে।
নয়াদিল্লি এবং জর্জিয়ার যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, ব্যংককেও সেই একই ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহৃত হওয়ার ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদীদের একই নেটওয়ার্ক কাজ করেছে এই তিনটি ক্ষেত্রেই। তবে ইজরায়েল এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে ইরানের হাত দেখলেও তা অস্বীকার করেছে তেহরান। এদিন ভারতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মহদি নাবিজাদে জোরগলায় জানিয়েছেন, তাঁর দেশ সন্ত্রাসের তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। নয়াদিল্লি-তেহরান মৈত্রীর দীর্ঘ ইতিহাসের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে এ ধরনের কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত আহমেদিনেজাদ সরকার।
First Published: Wednesday, February 15, 2012, 16:25