Last Updated: March 6, 2014 23:15

নির্বাচনের কাজে রাস্তা থেকে বাস তুলে নেয় কমিশন। অথচ কমিশনের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। ভিন রাজ্যে এই বরাদ্দ তুলনায় অনেক বেশি। এ রাজ্যের বাস মালিকদের সঙ্গে কমিশনের এই বিমাতৃসূলভ আচরণ কেন? প্রশ্ন বাস মালিক সংগঠনের।
ভোটের দামামা বাজতেই ফের ভোটের জন্য নেওয়া বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুললেন বাস মালিকরা। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের রাজ্য শাখা নির্বাচনের জন্য নেওয়া বাস পিছু ভাড়া দেয় ১২০০ টাকা। সঙ্গে চালক ও কন্ডাক্টরের খোরাকি বাবদ আরও ৯০ টাকা করে। বাসপ্রতি সবমিলিয়ে হাতে আসে মাত্র ১৩৮০ টাকা। অথচ ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে কেনা প্রতিটি বাসে প্রতিদিন শুধু ইএমআই দিতে হয় ১৩০০ টাকা। ফলে হাতে থাকে না প্রায় কিছুই। রাস্তায় দৈনিক বাস নামালে টিকিট বিক্রি করে বাসপিছু আয় ৫০০০ টাকা। মালিকরা এর ১২ শতাংশ কমিশন হিসেবে দেন চালককে। অর্থাত দৈনিক ৬০০ টাকা পান চালকরা। কন্ডাক্টর ও খালাসিও পান ৩০০ করে মোট ৬০০ টাকা। কমিশনের দেওয়া টাকার ১২ শতাংশের হিসেব ধরলে বাসচালক পান মাত্র ১৪৪ টাকা। অথচ তাকে বাস আগলে পড়ে থাকতে হয় সারাদিন। তবুও নিরূপায় হয়ে বাস দেন মালিকরা। কারণ পথচলতি বাসের কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে বাস অধিগ্রহণ করে কমিশন। সঠিক জায়গায় সঠিক দিনে বাস না পঁউছলে কাগজপত্র কমিশনের লাল তালিকাভুক্ত হয়।
লাগোয়া রাজ্যগুলিতে কমিশন বাস মালিকদের দৈনিক বাসপিছু যে টাকা দেয়, তা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ঝাড়খন্ডে ২৫০০ টাকা, অসমে ৩০০০ টাকা এবং বিহারে ২৫০০ টাকা। এরাজ্যেও সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে ৩০০০ এবং নেহরু মিশন বাসের ক্ষেত্রে ৩৫০০ টাকা করার দাবি তুলেছেন মালিকরা।
First Published: Thursday, March 6, 2014, 23:15