Last Updated: May 15, 2012 22:05

সংসদে জমা পড়ল ২০১০-১১ সালের রেলের ক্যাগ রিপোর্ট। আর তাতেই ফুটে উঠেছে রেলের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির ভয়াবহ ছবিটা। প্রায় ১০ বছর যাত্রীভাড়া না বাড়ানোয় এমনিতেই রেলের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছিল। উন্নয়ন খাতে খরচ তো দূরের কথা, আবশ্যিক দৈনন্দিন খরচের জন্য শূন্য হয়ে এসেছে রেলের ভাঁড়ার। ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী এই আর্থিক চেহারা ২০১০-১১ সালের। যে সময় রেলের দায়িত্বে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত ক্ষয় হতে শুরু করেছে রেলের ক্রমপুঞ্জিত তহবিল। এই মুহূর্তে সেই ক্ষয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ শতাংশ। ভারতীয় রেলের দীর্ঘ ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। শুধুমাত্র রেলের তহবিল ক্ষয়ই নয়, এবার টান পড়েছে রেলের মূল পুঁজিতেও। ক্যাগ রিপোর্ট অনুযায়ী মূল পুঁজিতে ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৮৫.৭১ কোটি টাকা। ফলে রেল লাইন তৈরি সহ কোনও আবশ্যিক কোনও কাজই আপাতত বেশ কয়েক বছরের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
রেল বাজেটের একটা বড় অংশ জুড়েই থাকে দেশজুড়ে রেলের উন্নয়নের গালভরা প্রতিশ্রুতি। এদিন কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ফের একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। কাঁচরাপাড়ায় দাঁড়িয়ে বর্তমান রেলমন্ত্রী যে প্রকল্পের কথা বলেছেন তার অধিকাংশেরই ঘোষণা হয়েছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্ট অনুযায়ী উন্নয়ন খাতেও ঋণের পরিমাণ ১২১৩.৩৪ কোটি টাকা। এমনকী গত কয়েক বছরের বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী প্রকল্পের স্ট্যাটাস রিপোর্টও জমা দিতে পারেনি রেল। এরপর কীভাবে এই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পালন হবে তা নিয়েই সংসশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
First Published: Friday, May 18, 2012, 17:03