Last Updated: January 21, 2012 17:25

উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের মুখে বহেনজির বিরুদ্ধে বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল ক্যাগ রিপোর্ট। সেই সঙ্গে বিড়ম্বনা বাড়ল বিজেপি`রও।
২০০৮-১১ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন(এনআরএইচএম)-এর অন্তর্গত বিভিন্ন প্রকল্পে ওষুধপত্র ও আনুষঙ্গিক চিকিত্সা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে অন্তত ১০০০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)-এর সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানোনো হয়েছে এ কথা। মায়াবতী সরকারের আমলের এই দুর্নীতির কথা ইতিমধ্যেই উল্লিখিত হয়েছে লোকায়ুক্ত রিপোর্টে। শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। এনআরএইচএম দুর্নীতির প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন পরিবার কল্যানমন্ত্রী বাবু সিং কুশওয়ার বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই তদন্তকারী দল।
সপ্তাহ কয়েক আগেই অভিযুক্ত বাবু সিং কুশওয়াকে দল থেকে তাড়িয়েছেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। অনগ্রসর কুর্মী জাতির এই প্রভাবশালী নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কিন্তু তা সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর পক্ষে কোনও অবস্থাতেই এনআরএইচএম কাণ্ডের দায় ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হচ্ছে না। সৌজন্যে, সেই ক্যাগ রিপোর্ট। কারণ শুধু তত্কালীন মন্ত্রী কুশওয়া বা তাঁর দোসর আমলাদের দুর্নীতি নয়, রিপোর্টে সরাসরি অঙুলি-নির্দেশ করা হয়েছে রাজ্য সরকার গৃহীত `পদ্ধতিগত অনিয়ম`-এর দিকে। যে ভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভা কেবলমাত্র এক জন প্রিন্সিপাল সচিব স্তরের আমলার মাধ্যমে সমস্ত চিকিত্সা উপকরণ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে দুর্নীতির সম্ভাবনা প্রবল হয় বলেই জানিয়েছে ক্যাগ। অথচ এনআরএইচএম-এর গাইডলাইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে অন্তত তিন জন সরকারি অফিসারের অংশগ্রহণ আবশ্যিক ছিল।
First Published: Saturday, January 21, 2012, 17:25