পুলিস হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার তদন্তে জঙ্গলমহলে এল সিবিআই

পুলিস হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার তদন্তে জঙ্গলমহলে এল সিবিআই

পুলিস হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার তদন্তে জঙ্গলমহলে এল সিবিআই। তবে এ রাজ্যের নয়, ঝাড়খণ্ড পুলিসের হেফাজত থেকেই উধাও হয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা দিল্লেশ্বর মাহাতো। যিনি আবার ২০১০ সালে বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকে অন্যতম অভিযুক্ত।

২০১০-এ ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে পুলিসি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি। অভিযুক্তের তালিকায় ছিল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা দিল্লেশ্বর মাহাতোর নাম। এরপরই তাঁর খোজে বাড়িতে হানা দিতে শুরু করে পুলিস। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হন গোয়া থেকে। ঝাড়খণ্ড পুলিসের চৌকি থেকে ইনসাস রাইফেল ছিনতাইয়ের অন্য একটি মামলায়।

দিল্লেশ্বরকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়খণ্ডের সোনারি থানায়। কিন্তু তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই দিল্লেশ্বরের। যদিও ২০১০-এর ২৬ জুলাই দিল্লেশ্বর মাহাতকে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করে সোনারি থানা।

দিল্লেশ্বর মাহাতোর স্ত্রী শেফালী মাহাতোর অভিযোগ, তাঁর স্বামী বাংলা ছাড়া অন্য ভাষায় লিখতে পারেন না।যদিও, সোনারি থানা যে মুচলেখা দেখিয়েছে তাতে সই রয়েছে ইংরেজিতে।

স্বামীর খোঁজে বহুবার ঝাড়গ্রাম থানায় যান শেফালী মাহাতো। দরবার করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। যান মানবাধিকার কমিশনে। কিন্তু, কোথাও কোনও সুরাহা হয়নি।

অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লেশ্বর মাহাতোর স্ত্রী। গত বছরের ১৮ই অক্টোবর ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো, সোমবার ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় আসে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। সিবিআই আধিকারিকরা ঝাড়গ্রাম স্টেশন ও ঝাড়গ্রাম পোস্ট অফিসে যান। যান বাঁশতলার বোধনা পোস্ট অফিসেও। ডেকে নেন দিল্লেশ্বর মাহাতোর স্ত্রী সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের। তাঁরা গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন।

জঙ্গলমহলে মাওবাদী, পুলিসি সন্ত্রাস বিরোধী জন সাধারণের কমিটির আন্দোলনের সময় নিখোঁজ হয়ে যান বহু ব্যক্তি। যাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার বিভিন্ন থানায় এঁদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এরকমই একটি ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের জঙ্গলমহলে এল সিবিআই।

First Published: Tuesday, January 14, 2014, 10:32


comments powered by Disqus