Last Updated: June 29, 2012 22:08

পাকিস্তানই আশ্রয় দিয়েছিল আবু হামজাকে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এই বলেই দাগলেন পি চিদম্বরম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অভিযোগ, পাক সরকারের মদত ছাড়া করাচির কন্ট্রোল রুম সক্রিয় হতে পারত না। পাকিস্তানের যোগসূত্র নিয়ে জেরায় আজও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আবু হামজা।
আবু হামজা ভারতীয় নাগরিক। মুম্বই হামলার চক্রীর গ্রেফতারের পর কৌশলে এই বলেই ভারতের কোর্টে বল ঠেলেছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক। শুক্রবার যেন মালিকের বক্তব্যেরই জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হামজা ভারতীয় নাগরিক হলেও, পাকিস্তান তার নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। এই বলেই এদিন ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন চিদম্বরম।
গ্রেফতারের পর থেকেই দফায় দফায় জেরা চলছে আবু হামজার। শুক্রবার সফদর জং হাসপাতালে তার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। ধৃত জঙ্গিকে জেরা করে এদিনও উঠে এসেছে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ছাব্বিশ এগারোর দু দিন আগে পাক মাটিতেই হামলার মহড়া চালায় লস্কর-এ-তইবা।
হামলা চলাকালীন লস্করের বেসক্যাম্প ছিল মুজফফরাবাদ। হামলার পরে তা স্থানান্তরিত হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুলাইয়ে
অপারেশনের মাস্টারমাইন্ড জাকিউর রহমান লকভির গ্রেফতারের পর দায়িত্ব নেয় মুজাম্মেল
জঙ্গি সংগঠনে ভারত থেকে দ্ররিদ্র মুসলিম এবং যুবক নিয়োগের দায়িত্বে ছিল হামজা
অন্যদিকে, ২৬/১১`র হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী আবু হামজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল নাসিকের একটি আদালত। ২০০৬-এর একটি পুরনো অস্ত্র মামলায় হামজার বিরুদ্ধে ওই ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। হামজার সঙ্গে লস্কর ই তৈবার যোগাযোগের তদন্তে নেমে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য নিয়মিত নতুন সদস্য নিয়োগের দায়িত্ব ছিল হামজার উপর। তরুণতরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির জন্য সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেরও সাহায্য নিত হামজা। নেটওয়ার্কিং সাইটে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে অপারেশন দাওয়াত নামের একটি জঙ্গি অভিযানের জন্য তরুণ সদস্য নিয়োগ করেছিল হামজা।
চলতি সপ্তাহের সোমবার দিল্লি পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় আবু হামজা।
First Published: Friday, June 29, 2012, 22:08