Last Updated: August 31, 2013 10:07

মহাকরণ সংস্কারের ব্যাপারে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসু। শুক্রবার মহাকরণে থ্রি-ডি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সংস্কার কমিটির সামনে রিপোর্ট পেশ করেন তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী ভবন মহাকরণ সংস্কারের ক্ষেত্রে ইতিহাস এবং স্থাপত্য, দুটি বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তবে কোন পথে সংস্কারের কাজ হবে, এখনই তা বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পরামর্শদাতারা।
পয়লা অক্টোবর মহাকরণ ছেড়ে হাওড়ার এইচআরবিসি ভবনে চলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মহাকরণ পুরোপুরি খালি না হওয়া পর্যন্ত ভবনটির নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংস্কারের কাজে কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। মহাকরণ তৈরি হয়েছে চুন-সুরকির মিশেলে।
২৩৬ বছরের পুরনো ভবনের সংস্কারের জন্য কী ধরনের উপাদান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, তা জানতে গেলে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ দরকার। মহাকরণের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে, ইংরেজ আমলে মূল ভবনটি ঠিক যেমন দেখতে ছিল, সেই চেহারায় ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে কাজকর্মের প্রয়োজনে যাতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধে মজুত থাকে, তার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
পয়লা অক্টোবর মহাকরণ খালি হওয়ার পর নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করবে দুই বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়বে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে সংস্কারের কাজ করানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মহাকরণ সংস্কারের কাজ শেষ হবে তিন মাসের মধ্যে। কিন্তু তিনমাসের মধ্যে আদৌ কাজ শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
First Published: Saturday, August 31, 2013, 10:07