পরীক্ষায় প্রাপ্তি `মাত্র` ৯৯% নম্বর, নিজেকে শাস্তি দিতে পেটে ছুঁচ গুঁজল চিনের ৯ বছরের একরত্তি বালক

পরীক্ষায় প্রাপ্তি `মাত্র` ৯৯% নম্বর, নিজেকে শাস্তি দিতে পেটে ছুঁচ গুঁজল চিনের ৯ বছরের একরত্তি বালক

পরীক্ষায় প্রাপ্তি `মাত্র` ৯৯% নম্বর, নিজেকে শাস্তি দিতে পেটে ছুঁচ গুঁজল চিনের ৯ বছরের একরত্তি বালক পরীক্ষায় ১০০% পাবে বলে আশা করেছিল সে। কিন্তু মিলল `মাত্র` ৯৯%। সেই দুঃখে চিনের ৯ বছরের পুঁচকি ছেলে নিজেকে শাস্তি দিতে পেটে গুঁজল চারটে সেলাই করার ছুঁচ।

টানা দু`ঘণ্টার চেষ্টায় ওই বালকের পাকস্থলীতে ঢুকে যাওয়া চারটি ছুঁচ বার করে আনলেন ডাক্তাররা।

ছেলেকে স্নান করানোর সময় বাবা ছেলের পেটে ফোলা ফোলা কিছু অংশ খেয়াল করেন। কিন্ত বাবা যাতে তার কীর্তির হদিশ না পায় তাই ভাল বাবাকে ভাল করে পরীক্ষাই করতে দেয়নি একরত্তি ছেলেটা।

পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয় ছেলেটি। সেখানে তার পেট থেকে উদ্ধার হয় চারটি ছুঁচ।

ছোট্ট ছেলেটা জানিয়েছে পরীক্ষায় ১০০% নম্বর না পেতে পেরে নিজেকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে। নিজেই জানিয়েছে শীতের ছুটি শুরু হওয়ার সময় প্রথমে পেটের মধ্যে দু`টো ছুঁচ গোঁজে। আর বাকি দু`টো গোঁজে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার মুখে।

সমীক্ষা বলছে পরীক্ষায় পড়াশোনার ইঁদুর দৌড়ে যেনতেন প্রকারে সামনের সাড়িতে থাকতে চায় বেশিরভাগ চিনা ছাত্র-ছাত্রীরা। তথাকথিত সাফল্যের সন্ধানে প্রবল মানসিক অবসাদে ভোগে তাদের অধিকাংশই। এই চাপ এতটাই যে চিনের প্রতি চার জন সেকেন্ডারি ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে একজন আত্মহত্যা করে।

হাইস্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা কৈশরের বাকি সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে দিনের বেশীরভাগ সময়টাই কাটায় পাঠ্য বইয়ে মুখ গুঁজে। পৃথিবীতে তারাই সবথেকে বেশি সময় ব্যয় করে পড়াশোনার পিছনে। যন্ত্রমানবের মত জীবনের জন্য পৃথিবীতে চিনের ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বাধিক মানসিক অবসাদে ভোগে।

First Published: Tuesday, March 4, 2014, 13:04


comments powered by Disqus