গুড়াপ কাণ্ডের জের, জামালপুরের মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার

গুড়াপ কাণ্ডের জের, জামালপুরের মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার

Tag:  Jmalpore CID Guria Damodar body
গুড়াপ কাণ্ডের জের, জামালপুরের মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধারগুড়াপের হোমের পর এবার জামালপুরে মাটি খুঁড়ে দেহের হদিশ পেল সিআইডি। দামোদরের চরে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হচ্ছে দেহ। এখনও পর্যন্ত ২টি গর্ত খোঁড়া হয়েছে। প্রথম গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। দ্বিতীয় গর্ত থেকে উদ্ধার হাড়গোড়, মাথার খুলি। দেহের কিছু জায়গায় পচন ধরলেও অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, খুব সম্প্রতিই পোঁতা হয়েছে দেহটি। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটিরও খুলি আড়াআড়িভাবে ভাঙা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এদিকে গুড়াপ কাণ্ডে মঙ্গলবার আরও দুজনকে আটক করেছে পুলিস। আটক রঘুনাথ সাঁতরা হোমের অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অন্যজন বিশ্বনাথ মুর্মু। তিনি হোমের ট্রাক্টর চালক।

মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির একটি দল জামালপুরে যায়। যেখানে হোমের আরও কয়েকজন আবাসিকের দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। জামালপুরে সিআইডির যে দলটি যায় তাদের সঙ্গে ছিল অ্যাম্বুলেন্স চালক সোমনাথ রায় ওরফএ সানি। অভিযোগ, দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের অন্য দুই আবাসিকের মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত না করে দামোদরের চরে পুঁতে দেওয়া হয়। দেড়শো টাকার বিনিময়ে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে দুটি দেহ দামোদরের চরে নিয়ে যায় সানি। এদিকে গুড়িয়া কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে চুঁচুড়া আদালত। গুড়াপের হোমে আজই তদন্তে যান চুঁচুড়া আদালতের বিচারক পঞ্চম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুরজিত মণ্ডল। এদিকে গুড়াপ কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ দাস, উদয়চাঁদ কুমার, সানি এবং রঞ্জিতকে মঙ্গলবারই গুড়াপ থানা থেকে ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয়।
 
২৪ ঘণ্টার তদন্তের জেরে রবিবারই বর্ধমানের জামালপুরে দামোদরের চরে খেজুরদহ হোমের পাঁচ আবাসিকের দেহ পুঁতে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে গুড়াপ থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, ঝর্না সামন্ত, রমজান বিবি, অনু ঘোষ, সুনীতা পাসোয়ান এবং পিঙ্কি, এই পাঁচ মহিলার দেহ জামালপুরে নিয়ে গিয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছে, আর সেটা করেছে হোমের কর্মীদের একাংশ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের সেক্রেটারি উদয় চাঁদ কুমারের বিরুদ্ধে।

ঝর্না সামন্তর দেহ পুঁতে ফেলতে গিয়ে হোমের লোকজনকে বেশ বেগ পেতে হয়। কারণ স্থানীয়রা সন্দেহের বশে তাদের ধরে ফেলেন। তখন পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিসের উদ্যোগে ঝর্না সামন্তর দেহের ময়নাতদন্তও হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তারপরেও আশ্চর্যরকম ভাবে হোমের লোকেদের হাতেই ঝর্নার দেহ তুলে দেয় পুলিস। এই নিয়ে পুলিসি তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু বাকি চারজনের দেহ কীভাবে হোম থেকে লোপাট করা হল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে জামালপুরের স্থানীয় মানুষের বয়ান থেকে যে তথ্য মিলেছে, তাতে এঁদের সবাইকেই দামোদরের চরে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।










First Published: Tuesday, July 17, 2012, 23:21


comments powered by Disqus