Last Updated: July 16, 2012 15:30

গুড়িয়া কাণ্ডে আটক চিকিত্সক কাঞ্চন মণ্ডলের গোপন জবানবন্দি নিল পুলিস। চুঁচুড়া আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রসেনজিত বসুর এজলাসে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় তাঁর। গতকাল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থেকে সোনামুখী পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার কাঞ্চন মণ্ডলকে আটক করে পুলিস। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি পুলিসের। গুড়িয়া কাণ্ডে রবিবারই তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। সোমবার গুড়াপ থানায় যায় সিআইডির তদন্তকারী দল। সিআইডি সুপারিনটেনডেন্ট শঙ্কর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের দল গুড়াপ থানায় যান। পুলিস হেফাজতে থাকা উদয়চাঁদ কুমারকে জেরা করেন তাঁরা। ডেকে পাঠান হয় হুগলির অতিরিক্ত পুলিস সুপার তথাগত বসুকে। গুড়িয়া মৃত্যু রহস্যের কেস ডায়েরি এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তবে এখনও ফেরার গুড়িয়া কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ। শনিবার বিকেলে গুড়াপ থানায় পৌঁছে গিয়েছিল এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা। তাতে উল্লেখ করা ছিল, থানা যেন গুড়িয়া কাণ্ডের কেস ডায়ারি এবং অন্যান্য রেকর্ড সিআইডির হাতে তুলে দেয়।

রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দশজন গ্রেফতার হয়েছেন। গুড়িয়ার ডেথ সার্টিফিকেটে সই করার অভিযোগে সোনামুখী পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার কাঞ্চন মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিস। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থেকে আটক করার পর গুড়াপ থানায় তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিস সুপার দেবাশিস সরকার গুড়াপ থানায় গিয়ে কাঞ্চন মণ্ডলকে জেরা করেন। অভিযুক্ত চিকিত্সকের দাবি, তিনি কোনও ডেথ সার্টিফিকেট লেখেননি। তাঁর সই জাল করা হয়েছে। কাঞ্চন মণ্ডল এই দাবি করলেও তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিস। পুলিসের বক্তব্য, শুধু গুড়িয়া নয়, ঝর্না সামন্তের ডেথ সার্টিফিকেটেও কাঞ্চন মণ্ডলের সই রয়েছে। কাঞ্চনের দাবি, তিনি ১৯৮৩ সালে আরজি কর থেকে ডাক্তারি পাস করেন কিন্তু গুড়িয়া ও ঝর্নার ডেথ সার্টিফিকেটে তাঁর যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে, তা আলাদা এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
First Published: Monday, July 16, 2012, 22:16