Last Updated: July 16, 2012 14:31

গুয়াহাটি তরুণীর শ্লীলতাহানি কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমা আজই শেষ হচ্ছে। শনিবারই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের জন্য আটচল্লিশ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অসম পুলিস মাত্র সাতজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে শ্লীলতাহানি কাণ্ডে মোট বারোজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিস। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অমর জ্যোতি কালিয়া এখনও ফেরার। রবিবারই বরখাস্ত করা হয়েছে এক সাব ইন্সপেক্টরকে। অভিযুক্তদের ছবি ক্যামেরা বন্দি হওয়ার পরেও কেন দোষীদের গ্রেফতারে বিলম্ব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে দেশজুড়ে। জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে এই ঘটনার জন্য পুলিসি নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত স্পেশাল টাস্কফোর্স। সনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি একজনের। রবিবার তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। সকালেই গ্রেফতার করা হয় দিগন্ত বসুমাতারি এবং নব্যজ্যোতি দেকাকে। এরপরেই ভুবনেশ্বর রেলস্টেশন থেকে মূল অভিযুক্ত অমরজ্যোতি কলিতা গ্রেফতার বলে যে খবর ছড়ায়, অসম পুলিশ তা অস্বীকার করে। পরে পুলিসসূত্রে জানানো হয় বিজনি থেকে গ্রেফতার হয়েছেন অন্য এক অভিযুক্ত ঘনশ্যাম মল্লিক।

আরও পাঁচ অভিযুক্ত এখনও অধরা। প্রকাশ্য রাস্তায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় এর আগে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। চিত্রগ্রাহক টিভি সাংবাদিককে গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার বেশ কয়েকটি সংগঠনের তরফে গুয়াহাটিতে মিছিল বের হয়। এর জেরে ইস্তফা দিয়েছেন সাংবাদিক গৌরবজ্যোতি নিয়োগ। ফেসবুকে যদিও সেদিন নিজের ভূমিকার সপক্ষে বক্তব্যও পোস্ট করেছেন তিনি। গুয়াহাটিতে আক্রান্ত তরুণীর শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরা। তাঁদের আশঙ্কা, শ্লীলতাহানির সময় তরুণীর গায়ে সিগারেট দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। আগামী দশ থেকে পনেরোদিনের মধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর। সোমবার এব্যপারে রিপোর্ট পেশ করবে জাতীয় মহিলা কমিশন।
First Published: Monday, July 16, 2012, 14:31