কলেজ অনলাইন বিভ্রাট নিয়ে উত্তপ্ত বিধানসভা, শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন এসএফআইয়ের

কলেজ অনলাইন বিভ্রাট নিয়ে উত্তপ্ত বিধানসভা, শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন এসএফআইয়ের

কলেজ অনলাইন বিভ্রাট নিয়ে উত্তপ্ত বিধানসভা, শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন এসএফআইয়ের কলেজে অনলাইন ভর্তি নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। এই ইস্যুতে আজ শুরুতেই উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। রাজ্যের সব কলেজেই অনলাইন ভর্তি চালুর দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় সভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস বিধায়করা। শুধুমাত্র কলেজভিত্তিক অনলাইন চালুর দাবি নিয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেয় বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই।

এর আগেই রাজ্যে কলেজগুলিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করেছে। উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকাতেই এই প্রক্রিয়া চালু করা যাচ্ছে না। দাবি শিক্ষা দফতরের। যদিও অনেকেই মনে করছেন এই পদ্ধতি চালু হলে শাসকদলের দাদাগিরির জায়গা কমে যেত। শুধু তাই নয় মোটা টাকার বিনিময়ে কলেজের সিট বিক্রিও বন্ধ হয়ে যেত। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ। রাজ্যের কলেজগুলিতে অ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বিদায়লগ্নে জানিয়ে গিয়েছিলেন এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া হবে অনলাইনেই।

কলেজে ভর্তি নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলির দাদাগিরি, নেতা-মন্ত্রীর প্রভাব খাটানো, মোটা টাকায় কলেজের আসন বিক্রির অভিযোগ বহুদিনের। ভর্তি নিয়ে এই অশান্তি বন্ধ করতেই সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হবে। অর্থাত্‍ প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় যে-কটি কলেজ রয়েছে তারা সবাই অনলাইনে অ্যপ্লিকেশন চাইবে। বিশ্ববিদ্যালয় সেইসব আবেদন ঝাড়াই-বাছাই করে তালিকা তৈরি করবে। তার ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে। এনিয়ে সরকারি স্তরে চূড়ান্ত মিটিং হয়ে যাওয়ার পরেই বাদ সাধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হলে ছাত্রছাত্রীদের উপর খরচের বাড়তি বোঝা চাপবে বলে দাবি করে টিএমসিপি। কিন্তু সত্যিই কি তাই? শিক্ষামহলের একাংশ মনে করছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হলে শাসকদলের দাদাগিরির সুযোগ একেবারে চলে যেত। বন্ধ হয়ে যেত কলেজের আসন বিক্রি করে মোটা টাকা রোজগারের পথও। তাহলে কি, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করার চেষ্টাই কাল হল ব্রাত্য বসুর। অনেকেই মনে করছেন, ব্রাত্য বসুকে শিক্ষা দফতর থেকে সরানোর অন্যতম বড় কারণ এটিও।

First Published: Monday, June 9, 2014, 15:09


comments powered by Disqus