Last Updated: March 25, 2012 20:09

রাজ্যসভার ভোটে লড়লে তাদের জয় নিশ্চিত ছিল এমনটাই দাবি ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নানকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় হাইকম্যান্ড।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিল হাইকমান্ড? যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তা কিন্তু রীতিমত তাতপর্যপূর্ণ।
কী ছিল ভোটের পাটিগণিত?
রাজ্যসভায় পাঁচজনের মধ্যে বামেদের একজন, তৃণমূলের তিনজনের জেতা নিশ্চিত ছিল। পঞ্চম আসনের জন্য তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হত কংগ্রেসের। তৃণমূল তাদের তিনপ্রার্থীকে সাতচল্লিশটি করে ভোট দিলে বাড়তি ভোট থাকত তেতাল্লিশটি। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বিয়াল্লিশ। কংগ্রেসের দাবি ছিল, নির্দল বিধায়ক হামিদুর রহমান তাদের ভোট দিতেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই তিনি পা মিলিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে। হাইকমান্ডের কাছে কংগ্রেস নেতৃত্ব যে তালিকা পাঠিয়েছিল তাতে দাবি করা হয়েছিল প্রবোধ সিনহা, কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্পামারি এবং সমাজবাদী পার্টির চাঁদ মহম্মদ কংগ্রেসকে ভোট দিতেন। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে এখন সুসম্পর্ক গড়তে আগ্রহী কিরণময় নন্দ। ফলে তাঁর দলের বিধায়কের ভোট কংগ্রেসের জন্য অনিশ্চিতই ছিল। মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফের সুসম্পর্ক তৈরি হওয়ায় কালচিনির বিধায়কের ভোটও কংগ্রেস পেতনা। প্রবোধ সিনহার থেকে কে কথা আদায় করেছিলেন কংগ্রেস শিবিরে তা কেউই জানেন না। অন্যদিকে সমস্যা মিটে যাওয়ায় মোর্চার ভোট তৃণমূলের পক্ষেই যেত। ফলে অঙ্কের হিসেবেই অনেকটাই পিছিয়ে ছিল কংগ্রেস।
শুধু তাই নয়, তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর কংগ্রেসের তিন বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছিল তাদের। ফলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে পড়বে জেনেও প্রয়োজনে তারা যে তৃণমূলকেই ভোট দিতেন তাও একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। ফলে ভোটে না লড়ে প্রদেশ কংগ্রেসকে এক চরম অস্বস্তিকর জায়গা থেকে হাইকমান্ড বাঁচিয়ে দিল তা একপ্রকার নিশ্চিত। এমনকী এযাত্রায় কংগ্রেসের ঘরের ভাঙনও আটকানো গেল বলে মনে করছে সকলে।
First Published: Sunday, March 25, 2012, 20:09